চবি ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মী আটক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১২ AM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:১২ AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের চার পক্ষের মারামারির পর দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে সিফসি গ্রুপের ১২ জন ও বিজয়ের ৮ জন রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ভবনের সামনে সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বীর অনুসারী মাসুমকে মারধর করে সভাপতি আলমগীর টিপুর কর্মীরা।
এর রেশ ধরে দু’টি পক্ষই শাহ আমানত হলে এসে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের একজন আহত হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী হলে সভাপতি পক্ষের দুই কর্মীকে মারধর করে বিপক্ষের কর্মীরা।
আহতরা হলেন, ইতিহাস বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের আরাফাত ও এনাম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের মাসুম এবং আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কবির। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে সোহরাওয়ার্দী, আলাওল ও এ.এফ রহমান হল থেকে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমানত হলে প্রবেশ করে। এ সময় দুপক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষ চলাকালীন আমানত হলের ভেতরে উভয়পক্ষের কর্মীরা প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় তারা হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে।বিভিন্ন কক্ষের বইখাতাসহ আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ এসময় প্রায় ১৫-২০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্ন ঘটায় দুই হল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত তাদের অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে এখন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।