নতুন দুই বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়া অনুমোদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৪০ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৫ PM
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এই দুটি খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আইন-২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ধারা ৫৪টি। ৯ ধারায় আচার্য, ১০ ও ১১ ধারায় উপাচার্য, ১২ ধারায় উপউপাচার্য, ১৩ ধারায় ট্রেজারার, ১৮ থেকে ২০ ধারায় সিন্ডিকেট গঠনের নির্দেশনা দেওয়া আছে। ২১ ও ২২ ধারায় একাডেমিক কাউন্সিল এবং ২৮ ধারায় অর্থ কমিটি সম্পর্কিত বিধান আছে। আইনের আলোকে ২৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই আইনেও ৫৪টি ধারা আছে। আচার্য, উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের বিধান রয়েছে ৯ থেকে ১৩ নম্বর ধারায়। ১৪টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আইন ২০১৯ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতোদিন এটা ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ বলে সামরিক সরকারের আমলের সব অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিদ্যামান আইনে পরিচালনা ‘বোর্ডের’ পরিবর্তে পরিচালনা ‘পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বোর্ডে কোনও সদস্য সচিব ছিল না। খসড়া আইনে বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে সদস্যসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।