ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উত্তপ্ত চবি, আহত ৫

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে ভিএক্স ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সিএফসি গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এবং ভিএক্স গ্রুপ সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের সামনে উভয়পক্ষ ব্যাপক ইট-পাটকেল ও কাচের বোতল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন-গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সুইডেন, একই বর্ষের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শেখ জাহিদ, ইতিহাস বিভাগের মো. রিয়াদ, গণিত বিভাগের তানজিম সাদমান ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. রিয়াদ।

আহতদের সবাই ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্সের কর্মী। এদের মধ্যে তিনজনকে চবি মেডিকেলে সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকি দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলে ভিএক্সের কর্মীদের সঙ্গে সিএফসি গ্রুপের মারধরের ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এ.এফ রহমান, আলাওল ও সোহরাওয়ার্দী হলের কর্মীরা জড়ো হয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিএফসি কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় দুইপক্ষের পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং উভয়পক্ষকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের কাচের বোতলও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে দুইপক্ষ হলের সামনে অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি থমথমে। যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে না। এখন নিয়ন্ত্রণে দেখছি। কিন্তু এটি নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরে। পুরো বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টায় আছি।

 


সর্বশেষ সংবাদ