থাকার জায়গা হয়নি, গভীর রাতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে পুলিশ সুপার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:২২ PM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯, ১২:২২ PM
ফের আলোচনায় পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তবে এবার নতুনভাবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীদের অনেকেই গভীর রাতে ক্যাম্পাসে পৌঁছেছেন। এ কারণে রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় তাদের। বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলেই রুম বুকিং হয়ে আছে। শীতে রাতভর বাইরে ঘুরতে হচ্ছিল অনেককে। তাদের এ কষ্ট লাগবে পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। পুলিশ লাইন এর ভিতর নবনির্মিত ছয়তলা নামের ব্যারাকটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরদের থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তিনি।
শুধু নিরাপদে থাকাই নয়, শিক্ষানুরাগী এই মানুষটির নির্দেশনায় তাদের মাঝে কম্বল, মশার কয়েল, খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুলে দিতে দেখা যায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের সদস্যদের।
এর আগে মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে সরকারি বিধি মোতাবেক সিভিলকোর্ট কর্মচারী পদে ২জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন কুমিল্লার এই পুলিশ সুপার। পুলিশ লাইনে রেশন স্টোরে বিক্রয় সহকারী পদে ১জন এবং বাবুর্চি পদে ১জন নিয়োগ দানে বর্তমান সময়ে স্বচ্ছতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। এর কিছু দিন আগে জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মোঃ নুরুল ইসলামের সার্বিক তত্বাবধানে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে সম্প্রতি ১০৩ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেন তিনি।
তথ্যমতে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ‘এ’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়। ইউনিটটিতে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) সাতটি বিভাগে মোট ৩৫০টি আসনে ভর্তির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৯৭৫ টি। প্রতি আসনের বিপরীতে ৭৭ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছে।
এ বছর ছয়টি অনুষদের অধীনে মোট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৬৮ হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী। ‘বি’ ইউনিটে (কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) আটটি বিভাগে ৪৫০টি আসনের বিপরীতে ২৮ হাজার ২৯৫ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) চারটি বিভাগে ২৪০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ‘বি’ ইউনিটে ৬৩ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।