জাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১২:০৩ PM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯, ১২:১৫ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আজও আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। দুপুরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সে অনুযায়ী প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও এ বিক্ষোভে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে অনেকে ক্যাম্পাসে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গতরাতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে বের হয়ে পুরনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গতকালই নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলিয়ে যাবে তারা। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ বৃহস্পতিবার জাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানো, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে কনসার্ট।
উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলন ঠেকাতে মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর বুধবার রাত ৮টায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বুধবার রাতে আন্দোলনকারীরা মিছিল বের করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণাকে প্রশাসনের ‘অবৈধ’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দেন এবং সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কথা কথায় দুর্নীতির অভিযোগ। এ অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। তথ্য দিতে হবে। তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এছাড়া এভাবে আন্দোলন, ভাংচুর একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে এভাবে আন্দোলন মেনে নেয়া যায় না।’
তবে প্রধানমন্ত্রী ও এর আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া জানাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।