অনুজীব গবেষণা হতে পারে মানবজাতির অফুরন্ত সম্ভাবনা
- শরিফুল ইসলাম, খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪৮ PM , আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৪৮ PM
পাট ও ইলিশের জীবনবৃন্তান্ত উন্মোচনে নেতৃত্বদানকারী টিমের অন্যতম বিজ্ঞানী, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. হাছিনা খান বলেছেন, খনিজ সম্পদ ফুরিয়ে গেলেও ভবিষ্যতে অনুজীব নিয়ে গবেষণা হবে মানবজাতির জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে জীববিজ্ঞান বিষয়ে আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ একক বক্তৃতা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রফেসর ড. হাছিনা খান বলেন, বিশ্বব্যাপী সূচিত হওয়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এসব অনুজীব ব্যবহার করে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত ও অবস্থিত অনুজীবের মান অন্যান্য এলাকার চেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও গুণাবলী সম্পন্ন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গবেষণার জন্য উপযুক্ত সময় তাদের। এখন সহায়ক অনেক কিছুই তাদের হাতের কাছে রয়েছে। তারা এখন অনেক তথ্য-উপাত্ত হাতের মুঠোয় পেতে পারে। এ কারণে তিনি তাদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি ও গভীর অভিনিবেশের সাথে অনুজীব গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করেন।
তিনি আর বলেন, নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে আমাদের নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করতে হবে যা মানবজাতি এবং পরিবেশের জন্য কল্যাণকর। আসলে জীবন মানেই অপর রহস্যে ঘেরা। ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিসহ মানুষের অনেক ব্যাধি নিরময়ে অনুজীব গবেষণা ভবিষ্যতে সাফল্যের সীমায় পৌঁছে দেবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আয়েশা আশরাফ। পরিচালনা করেন ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. রায়হান আলী, অনান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. শাহাদাত হোসেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমাল সায়েন্স এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রফেসর ড. ননী গোপাল সাহা। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড পাবলিক হেল্থ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তফা আনোয়ার। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শেখ মিজানুর রহমান এবং ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দিলারা ইসলাম শরীফ।