ইবির হল বন্ধের ঘোষণায় পরীক্ষা নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ৫ থেকে ৯ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

স্বল্পমেয়াদী এই ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। হল বন্ধের সিদ্ধান্তে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাড়ি যেতে হচ্ছে অনেকের।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে বলেন, ‘আগামী ৩ ও ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে একদিন ছুটি বাড়ানোয় ১০ অক্টোবর ক্যাম্পাস ছুটি থাকবে।’

হল বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন ‘প্রভোস্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ছুটিতে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ অক্টোবর সকাল ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষে আগামী ১১ অক্টোবর সকাল ৯টায় হল খোলা হবে।’

এদিকে ছুটি উপলক্ষে আগামী ৫ তারিখ বিভিন্ন বিভাগের পূর্বনির্ধারিত কোর্স ফাইনাল পরীক্ষার কথলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে পূজার ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খোলার পরদিন (১২ অক্টোবর) বিভিন্ন বিভাগের ১৬টি কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ক্যাম্পাস খোলার ঠিক পরদিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ১১ তারিখে হল খোলার পরদিন অর্থাৎ ১২ অক্টোবর ১৬টি, ১৩ অক্টোবর ৭টি, ১৪ অক্টোবর ৪টি বিভাগের কোর্স ফাইনাল ও মানোন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হল খোলার পর দিন পরীক্ষার থাকায় বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।

স্বল্পমেয়াদী এই ছুটিতে হল বন্ধের সিদ্ধান্তর নেওয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অনেক শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু হুরায়রা বলেন, ‘হল খোলার পরদিনই আমার পরীক্ষা। হল খোলার সাথে সাথে পরীক্ষা দেয়াটা খুবই কষ্টকর। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি হল যেন খোলা রাখা হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে এখন চুড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে হল বন্ধ করে দেয়াটা একদমই অযৌক্তিক। আশা করছি আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যে দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচর্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘প্রভোস্ট কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে সবার সাথে আলোচনা করে হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ