জবি শিক্ষক নাসির উদ্দিনের অপসারণ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল

  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদের অপসারণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার‌্য এবং রেজিস্ট্রারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গত বৃহিস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিল এর সম্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, মো. মঞ্জুর আলম এবং মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম সৌরভ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন অধ্যাপক পদে আবেদন করেছিলেন। তবে  অধ্যাপক পদে আবেদনের শর্তানুসারে তার জমাপ্রদানকৃত দুইটি আর্টিকেলগুলো প্রকাশিত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি চীন থেকে প্রকাশিত লেখা হুবহু কপি করেছেন এবং যা ভিক্টোরিয়া ইউনির্ভাসিটিতে প্রকাশের জন্য গৃহিত। এর মাঝে একটি আর্টিকেলের ৮১ভাগ ও অন্যটির ৫২ভাগ লেখা কপি করা ছিল। পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন আহমেদ কর্তৃপক্ষের নিকট যে জবাব প্রদান করেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

নাসির উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক অন্যজনের প্রকাশনা নকল করার বিষয়টি তদন্ত কমিটির নিকট সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সকল বিধি বিধান অনুসরণপূর্বক ২৬/০৪/২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৭তম সিন্ডিকেট সভায় সিন্ডিকেট সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে চাকরি থেকে অপরসারণ করা হয়। 

 


সর্বশেষ সংবাদ