সাত কলেজের ছাত্রী মিতুর আত্মহত্যার প্রতিবাদে ফের কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ফের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার সহপাঠীরা। আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টায় মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে। বদরুন্নেছা কলেজের সামনেই জড়ো হবে সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। আজ শুক্রবার কলেজটির সামনে মানববন্ধন থেকে ফের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সূত্র মতে, আত্মহত্যাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম মনিজা আক্তার মিতু। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মহিউদ্দিন মাস্টার ও সালমা বেগমের মেয়ে তিনি। মিতু বেগম বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যা করে মিতু। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে ছাত্রীর ফুফু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত রেজাল্টে তিন বিষয়ে ফেল করে মিতু। যা মেনে নিতে না পেরে কাঠাল গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ফেলের বিষয়টি জানিয়ে মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছেন ওই ছাত্রী।

এদিকে আজ শুক্রবার মানববন্ধনে উপস্থিত মিতুর সহপাঠী তানিয়া বলেন, মিতুর লক্ষ্য অনেক বড় ছিল। সে অনেক ভাল ছাত্রী ছিল। সে যে ফেল করতে পারে, এটা কখনোই আমাদের মাথায় আসেনি। সে যেখানে দুই বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে, সেখানে তিন বিষয়ে ফেল করে কীভাবে? আমরা তার হত্যার বিচার চাই।

ঢাকা কলেজের ছাত্র সুমন বলেন, শুধু মিতু না, সাত কলেজের দুই লাখ শিক্ষার্থী আজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ঢাবি আমাদের উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা য়ায় না। একটা ছাত্র কতটুকু মেন্টাল প্রেসারে থাকলে আত্মহত্যা করতে পারে! আজকে আমার বোন আত্মহত্যা করেছে কালকে হয়ত আরো করবে। আমরা মিতু হত্যার বিচার চাই এই বিচার না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।

মিতুর সহপাঠী আরজু বলেন, মিতুকে মিস করছি। একটা ভাল ছাত্রী ফার্স্টক্লাস না পেলেও ফেল করে না। মিতু কেন ফেল করল আমরা জানিনা। আমরা পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ঢাবি প্রশাসন আমাদের সাথে কি করছে? আমরা চাই আমাদের পদ্ধতি আগের মত হোক। আমরা আর নির্যাতিত হতে চাই না।

ঢাকা কলেজের শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ মিতুর আত্মহত্যার জন্য কেন রাস্তায় নামতে হবে? ঢাবি প্রশাসন আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও তা বাস্তবায়ন করছে না। আজ কীভাবে সকল ছাত্র গণহারে ফেল করে? আজ আজ আমার বোন আত্মহত্যা করেছে, কাল হয়ত আমার ভাই আত্মহত্যা করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ, আপনার এই সমস্যার সমাধান করুন। তা না হলে সাত কলেজের ছাত্ররা ঘরে বসে থাকবে না।

 


সর্বশেষ সংবাদ