১৮ লাখ টাকায় শিক্ষক নিয়োগের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩০ PM , আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৪:৪৮ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি জানান, নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের বিষয়টি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৩৪তম সভায় বিষয়টি তোলা হয়। সভায় এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেনকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া। গঠিত এ কমিটিকে যথা শীঘ্রই সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
দেখুন: ১৮ লাখ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক! (অডিও)
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন ‘প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় তাৎক্ষণিক দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন ঘটনার সত্যতা নিরূপণ, দোষীদের চিহ্নিতকরণ ও অপরাধের মাত্রা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের একটি অডিও ফাঁস হয়। এতে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহিমের কথোপকথন পাওয়া যায়। পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া ২৯ জুন ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আট মিনিট পয়ত্রিশ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপটিতে শিক্ষক নিয়োগে আরিফ হাসান নামের এক প্রার্থীর সঙ্গে ফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে আলাপ করেন ওই দুই শিক্ষক। এসময় প্রার্থীর সঙ্গে ১৮ লাখ টাকায় চুক্তি হয় তাদের। এর মধ্যে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের আগে ১০ লাখ এবং সিন্ডিকেটে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেলে বাকি ৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে আলাপ হয় তাদের।