ইবির শাপলা ফোরামের নির্বাচনে উপাচার্য পন্থীদের জয়

  © ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের শিক্ষক ক্লাবে (মমতাজ ভবন) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীপন্থী শিক্ষকদের একটি বড় অংশ জয়ী হয়েছেন।

ভোট গণনা শেষে গতকাল রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ এর আহবায়ক অর্থনীতি বিভাগের জেষ্ঠ অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ। এতে মোট পনেরটি পদের বিপরীতে নয়টিতে উপাচার্যপন্থী এবং বাকি ছয়টি পদে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষক প্যানেল জয়লাভ করেন।

উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ১১৭, অধ্যাপক মেহের আলী ১১৯, অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন ১১৭, অধ্যাপক জাকারিয়া রহমান ১১৭, অধ্যাপক কাজী আখতার হোসেন ১১১, অধ্যাপক রেবা মন্ডল ১১৯, অধ্যাপক মোস্তফা কামাল ১১৪, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ১০৯, অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম ১০৬ এবং অধ্যাপক ইব্রাহিম আব্দুল্লাহ ১০৬ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া উপাচার্য বিরোধী প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন- অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ১০৮ ভোট, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ১১৯ ভোট, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ১১১ ভোট, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ১০৭ ভোট এবং অধ্যাপক প্রদীপ কুমার অধীকারী ১৪৭ ভোট (সর্বোচ্চ)।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় নির্ধারিত ছিলো ২২ থেকে ২৩ জুন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৪ জন শিক্ষক আবেদন ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে জমা দেন মোট ২৯ জন শিক্ষক। এরপর যাচাই বাচাই শেষে ২৯ জন প্রার্থীরই নামের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২১০ জন শিক্ষক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন সততা ও স্বচ্ছতায় প্রগতিশীল চর্চাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই স্বীকৃতি এই নির্বাচনের ফলাফল বলে আমি মনে করি।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি আমার সকল সহকর্মীদের মতামতকে সম্মান করি। নির্বাচনে তারা তাদের একান্ত মতামত প্রকাশ করেছেন। তারা যাকে ভাল মনে করেছেন তাদেরকে ভোট দিয়েছেন।’

প্রসঙ্গত, ফোরামের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সকল সদস্যই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ১৫ জন নির্বাচিত হন। পরে নির্বাচিতরা আলোচনা সাপেক্ষে সভাপতি-সম্পাদক ও অন্যান্য পদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি (১৫ সদস্য বিশিষ্ট) গঠন করে থাকেন।


সর্বশেষ সংবাদ