বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকে বেধড়ক পিটুনি ছাত্রলীগের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০১৯, ১২:০১ PM , আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ১২:৩৭ PM
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিফাত সাব্বিরকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। আহতাবস্থায় সাব্বির বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল (শনিবার) আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালগন্জ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন মেসে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়ে সিফাত সাব্বির জানান, ‘আনু্মানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় ১০-১২ জন যুবক রড লাঠি নিয়ে মেসে ঢুকে আমাকে মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে মেসের অন্য ছেলেরা এবং এলাকার লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে একজন এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে।’
ওই হামলাকারীর নাম তোফায়েল আহমেদ। সে বশেমুরবিপ্রবির লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড ভেটেরেনারি মেডেসিন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সাব্বিরের ভাষ্যমতে, তোফায়েলসহ হামলাকারীরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
তবে এ বিষয়ে তোফায়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এই হামলার সাথে জড়িত ছিলাম না, স্থানীয়রা আমায় ভুল করে হামলাকারীরা ভাবায় আমি এই ঝামেলার সাথে জড়িয়ে গেছি।’ তার কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, তার বড় ভাইদের সাথে আলোচনা না করে তিনি কিছু জানাতে পারবেননা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পিও হামলার শিকার হয়েছিলেন। গোপালগঞ্জে সদর হাসপাতালের সামনে প্রায় ১০-১৫ জন তার ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের মধ্যে বাপ্পী দুজনকে চিনতে পেরেছিলেন যাদের একজনের নাম মেহেদী হাসান সুমন এবং আরেকজনের নাম আসিফ সিদ্দিক। তারা দুজনেই বশেমুরবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বাপ্পীর মতে, রাজনৈতিক কারণেই তার ও সিফাতের ওপর হামলা করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ দায়ী।
তবে এসকল হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে কিনা জানতে চােইলে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে বাপ্পী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করলেও এখানে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কোনো কমিটি দেয়া হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী জেলা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেন।