২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১৫

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব দর্শন দিবস পালন

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন দিবস পালন  © টিডিসি ফটো

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব দর্শন দিবস। রবিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম আয়োজনের উদ্বোধন করেন। 

দুপুরে নতুন কলা ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ র‍্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দর্শন, বিজ্ঞান ও ধর্ম একে অপরের সাথে গভীরভাবে যুক্ত— তিনটিই জীবন ও জগৎকে ব্যাখ্যা করে। বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা দিয়ে সত্য খোঁজে, দর্শন যৌক্তিক বিশ্লেষণ করে আর ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি তৈরি করে। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা যখন দেখা দেয়, তখন দর্শন যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে। একজন মানুষ যেমন একসাথে বাবা, ভাই ও শিক্ষক হতে পারে, তেমনি একই ব্যক্তি দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও ধার্মিকও হতে পারেন— তবে প্রেক্ষিত ও ভূমিকা ভিন্ন হবে।

আরও পড়ুন : বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় পতন, দেশে ভরি কত

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষার ভিত্তিই দর্শন। তাই দর্শন দিবস শুধু একটি বিভাগ নয়, জ্ঞানের মূল ভিত্তিকে স্মরণ করার দিন। ২০০২ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব দর্শন দিবস ঘোষণা করে— কারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর গুরুত্ব কমে গেলে জাতিসংঘ সেই গুরুত্ব ফেরাতে দিবস ঘোষণা করে। বাবা-মা কিংবা দর্শনের মতো মূল্যবান বিষয়গুলোর গুরুত্ব সমাজে কমে যাওয়ায় এসব দিবসের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

আলোচনা সভা শেষে দর্শন বিভাগের প্রভাষক শুভ চন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত ‘বিশ্ব দর্শন দিবস স্মরণিকা- ২০২৫’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং মঞ্চে কেক কাটা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএইচএম কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।