১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:০৪

কুবির সুমাইয়া হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন না হলে কঠোর আন্দোলন

কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যার বিচার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হত্যার রহস্য দ্রুত উদঘাটন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) শহীদ আবদুল কাইয়ুম চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। 

মানববন্ধনে লোক প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় চার শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এ সময়, ‘তুমি কে আমি কে, সুমাইয়া সুমাইয়া’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, হত্যাকারীর ফাঁসি চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘আমার বোন খুন কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিচার নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’ বলে স্লোগান দেন তারা।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোরসালিনা বেগম বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যে তথ্যগুলো পাচ্ছি, সবগুলোতে অসংগতি লক্ষ্য করছি। পুলিশ সুপারের কাছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি তা এড়িয়ে যান। আমরা প্রশাসনের কাছে আশা করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন সুমাইয়া হত্যার বিচার নিশ্চিত করবে।’

ইনকিলাব মঞ্চ কুবির আহবায়ক মো. হান্নান রাহিম বলেন, ‘এত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আগে কখনো হয়নি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যমান কোন বিচার না করায় এমন ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করি। সামনে এমন ঘটনা যদি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটে, আমরা কুমিল্লার জমিনকে নাড়িয়ে দেব।’

আরও পড়ুন: হাতে গোনা হবে জাকসুর ভোট, ছাত্রদল-শিবিরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দীন মোহাম্মদ রুবেল বলেন, ‘আমরা এখনও বলতে পারছি না, হত্যার আসল রহস্য কী? আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাচ্ছি, তারা যেন এ বিষয়ে কনসার্ন হন। আসামিদের এমন দৃশ্যমান বিচার চাই, যা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। সুমাইয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত না এ ঘটনার বিচার পাচ্ছি শেষ পর্যন্ত আমরা লেগে থাকব।’

ঘরের মধ্যে ঢুকে এভাবে হত্যা করা কল্পনাও করা যায় না উল্লেখ করে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং বিভাগ এ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে আছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু এখনও জানি না, আসামির সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ছিল কিনা। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া যেন বিলম্বিত না হয়, প্রশাসনের কাছে সে দাবি জানাচ্ছি।’