ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৯ PM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:০৯ PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবীতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরাচারি উপাচার্য প্রফেসর এস এম ইমামুল হকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এদিকে এ ব্যাপারে সিন্ধান্ত নিতে জরুরি মিটিংয়ের ডাক দিয়েছেন শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা শুরুতে আট দফা দাবীতে আন্দোলন করেছি। টানা সাত দিন অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করেনি। তাই এখন আমাদের একটাই দাবী, উপাচার্যের পদত্যাগ।’
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দরকার হলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করবো।’ এসময় আমরণ অনশনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে জরুরি মিটিংয়ের ডাক দিয়েছি। আলোচনা করে সিন্ধান্ত জানাবো।’
আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সিফাত আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ। আজ আমরণ অনশনে বসেছি। দরকার হলে না খেয়ে মারা যাবো। তবুও উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো।’
উল্লেখ্য, গত ২৬শে মার্চের চা-চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ওইদিন এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং হল থেকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তখন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরে উপাচার্য এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন। গত ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা সমঝোতা বৈঠক করলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
পরে ১০ এপ্রিল উপাচার্য ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৫ দিন ছুটির আবেদন করেন এবং তা মঞ্জুর হয়। তবে শিক্ষার্থীরা এ ছুটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ অবস্থায় উপাচার্যের পদত্যাগ কিংবা পূর্ণকালীন ছুটিতে না গেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।