অবকাঠামোসহ ৩ দফা দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
অবকাঠামো উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ ও শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট-সংলগ্ন ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান নেন এবং পরে সড়কে নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় তারা, ‘বাজেট নিয়ে তালবাহানা চলবে না’, ‘৫৩ একরে হবে না আর, ২০০ একর চাই এবার’, ‘মুলা ঝুলানো বন্ধ কর, জমি অধিগ্রহণ দ্রুত কর’, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা মোদের অধিকার’,’ভিসি এলো ভিসি গেলো, উন্নয়নের কী হলো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম স্বাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেলে আমরা ভেবেছিলাম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সবধরনের অবহেলা থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু আমরা এর উল্টো চিত্র দেখতে পেয়েছি।’
এ সময় কীর্তনখোলাপাড়ের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান দখলের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দুটি হলে মাত্র ২ হাজার শিক্ষার্থী থাকে বাকি সবাই বাহিরে থাকতে হয় এবং ৩৬ ক্লাসে ১০ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করে তাই আমাদের সব দাবি দ্রুত মেনে নেওয়া হোক।’
শিক্ষার্থী সেঁজুতি অভিযোগ করেন, ‘প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে সুবিধা পায় তা আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাই না। শিক্ষক ও প্রশাসন অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফলকে নাম দেখে উপদেষ্টা বললেন, ‘এটা কি আমার বাপের টাকায় করছে’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে সংকটে ভুগছে। ২০১৫ সালে প্রথম ফেজের কাজ শেষ হলেও দ্বিতীয় ফেজ এখনো শুরু হয়নি। তবে এর ফিজিবিলিটি টেস্টের বাজেট ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। শিগগিরই পিডি নিয়োগ দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসেসমেন্ট কাজ শুরু হবে।’
পরবর্তী সময়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন এবং ২৪ ঘণ্টার ভেতরে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা না হলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
গত ২৮ জুলাই থেকে অবকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমে তিন দফা দাবি পেশ করে।