ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চবি: আহত ৩, আটক ৪

চবিতে ছাত্রলীগ-পুলিশের সংঘর্ষ
চবিতে ছাত্রলীগ-পুলিশের সংঘর্ষ  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়েরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। রবিবার সকাল থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি পক্ষের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখে।

পরে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে মূল ফটকের তালা খুলে দেয় পুলিশ। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক পুলিশ সদস্য ও দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আটক করা হয়েছে চারজনকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

চবি শাখা ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। ধর্মঘটের প্রথমদিনেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শাটল ট্রেন। কেটে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বগির হোস পাইপ। এছাড়া শিক্ষকদের বাস, ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরে সিএনজি, অটোরিকশাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি পক্ষের ৬ কর্মীর মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করে।

এদিকে গতকাল শনিবার থেকে দুই দফা দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেইজে বার্তা দিতে দেখা যায়, সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। তবে সুনির্দিষ্ট কোন প্রেস ব্রিফিং করেননি আন্দোলনকারীরা। ফলে আন্দোলন ঘোষণা শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ ছিলো।

এছাড়া ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি জানানো হয়। তা হল- সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘আমরা দুই দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি এবং সেটা পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে।’


সর্বশেষ সংবাদ