০১ জুন ২০২৫, ১৭:২৬

জবির ওয়েবসাইটে নেই শিক্ষকদের তথ্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জবির হিউম্যান রাইটস সোসাইটির লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ওয়েবসাইটে নেই বেশিরভাগ শিক্ষকের কোনো তথ্য। ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করতে উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন জবির হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্যরা। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধিকাংশ শিক্ষকের প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণা, প্রকাশনা, ও অ্যাকাডেমিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য অনুপস্থিত। নেই অনেক শিক্ষকের ছবি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, অ্যাকাডেমিক দায়বদ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রস্তাব ফেলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, গবেষণার গুণমান এবং শিক্ষার পরিবেশ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র‍্যাংকিং, ওয়েবোমেট্রিক্স প্রভৃতি সংস্থা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলোকেই গুরুত্ব দেয়। অথচ শিক্ষকদের তথ্য অনুল্লিখিত থাকায় প্রতিচ্ছন সেই মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও পড়ুন: গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের পদোন্নতির উদ্যোগ জবি প্রশাসনের 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং গবেষণার পরিবেশকে উন্নত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে হিউম্যান রাইটস সোসাইটি বিশ্বাস করে, তথ্য জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। 

স্মারকলিপিতে ৪টি দাবি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষককে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজ নিজ প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গভাবে জ্বলনাগাদ করতে বাধ্যতামূলক করা, আইসিটি সেলের মাধ্যমে একটি কারিগরি সহায়তা ইউনিট গঠন করে শিক্ষকদের তথ্য আপলোডে সহায়তা করা, বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে তথ্য হালনাগাদের অপ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের সুস্পষ্ট নীতিমালা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ ও কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ—আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজি আহাদ ও উম্মে হাবিবা।