মার্চ টু যমুনা: টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে জবি শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা
আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ টু যমুনা’ পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে। টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ যাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এটি কাকরাইল এলাকায় পৌঁছালে সেখানে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে শিক্ষকরাও আছেন।
টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের সাদিয়া আক্তার নেলি, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রীতি আক্তার, ইংরেজি বিভাগের রাতুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আবদুল্লাহ আল ফারুক, দর্শন বিভাগের আসিফ আদনান আহত। তাদের ঢাকা মেডিকেল নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের লাঠিপেটায় তিন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন বাংলা ট্রিবিউনের সুবর্ন, দৈনিক সংবাদের মেহেদী, ঢাকা পোস্টের মাহতাব লিমন।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রধান ৩ আসামি গ্রেপ্তার
আহত শিক্ষার্থী রীতি আক্তার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে পদযাত্রা করছিলাম। কোনো ধরনের উত্তেজনা ছাড়াই হঠাৎ পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ চালায়। আমি নিজে মাথায় আঘাত পেয়েছি। এটা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পুলিশি আচরণ হতে পারে না।’
রমনা জোনের ডিসি মাসুদুল আলম বলেন, ‘পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের যমুনার সামনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এর আগে আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুজুংভাজুং বুঝিনা, লং মার্চ টু যমুনা’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস’, ‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, তবু আমাদের হল দেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: ৫ মাস আগে উদ্যানের গেট বন্ধ করতে চেয়েছিল ঢাবি প্রশাসন, বিরোধিতায় হয়নি বাস্তবায়ন
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।