বেরোবিতে জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতে বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষাথীদের একাংশ।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতে বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষাথীদের একাংশ।  © সৌম্য সরকার

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের মূল কর্মসূচি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি ক্যাফেটেরিয়ার সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এলাকা প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারকে এসে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।

স্বাধীনতা স্মারকে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, অনুষদ, বিভাগ, দপ্তরসহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন, কর্মচারী ইউনিয়ন এবং শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধানিবেদন করছেন বেরোবির শিক্ষক-শিক্ষাথীদের
একাংশ। ছবি: সৌম্য সরকার

এদিকে শিশুদের চিত্রাঙ্কন শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শকে ঘিরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. সরিফা সালেয়া ডিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না, আমাদের হয়তো হাজার বছর ধরে পরাধীন থাকতে হতো। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে হাল ধরতে হবে, তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’

সহকারী প্রক্টর আতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য সচিব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নুর আলম সিদ্দিক। দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

দিবসের অনুষ্ঠানসমূহে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ও গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ