ইবিতে সাংবাদিকদের কাজে বাধা ও শিক্ষক হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা ও শিক্ষক হেনেস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন করেন তারা। এসময় তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানায়।
এ সময় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি ওবায়দুর রহমান আনাস, সাদিয়া মাহমুদ মীম, অর্থ সম্পাদক আহমদ গালিব, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন ও বিজ্ঞান সম্পাদক সজিব হোসেনসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, ‘একটি সংগঠন উপাচার্যের কর্যালয়ে ঢুকে উপাচার্যসহ প্রক্টরকে বিভিন্নভাবে হেনস্ত করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মীদের কাজে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আজকে সাংবাদিকদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে এককভাবে কোনো রুদ্ধদ্বার বৈঠক হতে পারে না। সকল সংগঠনের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক করতে হবে। উপচার্যের কার্যালয় থেকে সাংবাদিকদের বাহির করার ক্ষমতা শুধুমাত্র উপাচার্যের রয়েছে কোন সংগঠন হস্তক্ষেপ করার অধিকার রাখে না। উপাচার্য ও প্রক্টরকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয়েছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে ৫ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষকদের ওপর হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের তাদের কাজে বাধা দেয়া হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গোষ্ঠী বিভিন্ন পদে তাদের নিজেদের পছন্দ মতো নিয়োগ দেওয়ার ভিসিকে চাপে রাখার চেষ্টা করতেছে। আমরা ভিসিকে বলতে চাই, আপনি কোনো গোষ্ঠীর চাপে পরে নিয়োগ দেবেন। এটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলতে চাই, আজকের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন।’
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পদ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর বডির মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদেরকে বাঁধা দেয়। পরে তাদেরকে উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, উল্লাস মাহমুদ ও সাবিক জোয়ার্দারসহ অন্য কর্মীরা ভিতরে থাকা সাংবাদিকদের বের করে দেন।