কুবি অধ্যাপকের স্বামী মনিরুজ্জামানকে সরানো হল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে

এ কে এম মনিরুজ্জামান ও ড. মোসা. শামসুন্নাহার
এ কে এম মনিরুজ্জামান ও ড. মোসা. শামসুন্নাহার  © টিডিসি সম্পাদিত

পদের প্রভাব ব্যবহারের অভিযোগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুজ্জামানকে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই কর্মকর্তার বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২২ জানুয়ারির মধ্যে তাঁকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। নতুন কর্মস্থলে  ২২ জানুয়ারির মধ্যে যোগ না দিলে ওই দিন দুপুরে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হয়েছেন বলে গণ্য করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

আরো পড়ুন: শর্তপূরণ ছাড়াই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই কর্মকর্তার স্ত্রী ড. মোসা. শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, স্বামীর প্রভাব ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করা ছাড়াই তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। বর্তমানে ওই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়টির লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

ড. শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি সুপারিশ না করলেও তিনি উপাচার্যের আস্থাভাজন ও স্বামীর প্রভাবে নিয়মবহির্ভূত পদোন্নতি পান। এছাড়াও তার স্বামী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হওয়ায় সে প্রভাব দেখাতে নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের লোগো সংবলিত গাড়ি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন।

সরকারি একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক পদে নিয়োগ পান মনিরুজ্জামান। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে পদ–পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ জন্য তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ওই দপ্তর থেকে বদলি করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ