‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের, প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দিলেন ব্যানার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৫ AM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ PM
তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটল এক অভিনব ঘটনা। শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হলো ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশাল ব্যানার। নিজেদের দাবি ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করলেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে বারোটায় এই ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ব্যানার টাঙ্গান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন অনেকদিন ধরেই। এরই অংশ হিসেবে কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি ব্যানার লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এটা শুধু একটি পদক্ষেপ নয়, তিতুমীর কলেজের দীর্ঘ ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও এই কলেজের ছাত্ররা দেখিয়েছিল সাহসিকতার দৃষ্টান্ত। তারা তৎকালীন ‘জিন্নাহ কলেজ’ নামটি ফেলে দিয়ে পরিবর্তন করেছিল ‘তিতুমীর কলেজ’ নামে। সেই ঐতিহাসিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজকের এই উদ্যোগ যেন আরও একবার সেই গৌরবময় অধ্যায়ের স্মৃতি উসকে দিল।
জানা যায়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হলেও এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এ অবস্থায় পুনরায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হলে শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
ব্যানার টানানোর পর শিক্ষার্থীরা বলেন, তিতুমীর কলেজের বিশাল অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনা এবং বিপুল শিক্ষার্থীর সংখ্যা এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য যথেষ্ট যোগ্য করে তোলে।
উল্লেখ্য, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের যৌক্তিকতা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন সদস্য।
সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের মনোনীত একজন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং বিশ্ববিদ্যালয়-২ অধিশাখার যুগ্মসচিব। এছাড়া, সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব।