গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে কুবি শিক্ষার্থীরা, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) পুনরায় গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করে দ্রুত তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, গুচ্ছভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্রতা নষ্ট করছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে।

সম্প্রতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে বিষয়টি সামনে আসে। তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া নির্দেশনার কারণে আপাতত গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই একাডেমিক কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

উপাচার্যের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে আমাদের বিভাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না পাওয়ায় বিভাগে আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ফেসবুকে মো. এমরান হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘পরবর্তী বছর নয়, এই বছর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছমুক্ত হওয়া উচিত। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’ আরেক শিক্ষার্থী আল মাহমুদ পোস্ট করেছেন, ‘আমরা গুচ্ছমুক্ত এবং পোষ্য কোটামুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় চাই।’

আরো পড়ুন: চবির ভর্তি আবেদনের ফি দেওয়া যাবে আজ থেকে

পাবেল রানা নামের এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘কুবি প্রশাসন গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পুনরায় কেন ফিরে গেল? এ ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা মেনে নেওয়া যাবে না।’

জানা গেছে, গত ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি আবেদন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চাপের মুখে পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে তারা বাধ্য হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ