ইবি ক্যাম্পাসে ক্ষতিকর পলিথিন ও আবর্জনা পরিষ্কার করলেন শিক্ষার্থীরা
‘যুবরাই লড়বে, সবুজ পৃথিবী গড়বে’ স্লোগান সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েজের উদ্যোগে ক্যাম্পাস পলিথিন মুক্তকরণ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ঝাল চত্বর, ডায়না চত্বর, জিয়া মোড়, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়, প্রশাসন ভবন এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের চারপাশ থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন এবং আবর্জনা সংগ্রহ করে তা ধ্বংস করেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিবেশ সুন্দর রাখতে হলে অবশ্যই পলিথিনমুক্ত রাখতে হবে। সে লক্ষ্যে তাদের এ কর্মসূচি। তারা ক্যাম্পাসে পড়ে থাকা পলিথিন একত্রিত করে তা ধ্বংস করছেন। সবার কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চান, যেন তারা পলিথিনের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনেন।
জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুল কবির বলেন, আমরা এমন একটা যুগে এসে দাঁড়িয়েছি, যেটি ইকো সিস্টেমের যুগ। পলিথিন ব্যবহারের সময় যদি একটু বুদ্ধি করে ব্যবহার করি, তাহলে সুন্দর একটা পরিবেশ গড়তে পারব। একটি পলিব্যাগকে একাধিকবার ব্যবহার করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমরা পলিথিনকে রিসাইক্লিং করছি না, কিন্তু এটি আমাদের করতে হবে। যতটুকু পলিথিন এখন আছে সেগুলোই বারবার ব্যবহার করতে হবে, তাহলে পলিথিনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারব। এছাড়া আমাদের পলিথিন মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
আরো পড়ুন: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টার লাগালেই ব্যবস্থা
গ্রীন ভয়েজ’র সভাপতি উজ্জ্বল বলেন, আজকে আমাদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা পলিথিন এবং যেসব দ্রব্য পচনশীল নয়, সেগুলো কুড়িয়ে সংগ্রহ করা। সেজন্য আমরা তিনটি টিমে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের ভিসি বাংলো থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর পাড় পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ বস্তার মতো পলিথিন এবং ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করেছি। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেখেছি, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। প্রশাসনের কাছে আহবান থাকবে, যেন বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন গ্রীন ভয়েজ যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখছি, তা বাস্তবায়নে এধরণের কাজের মাধ্যমে গ্রীন ভয়েজ এগিয়ে এসেছে। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি ক্যাম্পাস গড়তে তারা সবসময় সহায়তা করবে বলে আশা করি।