পরীক্ষা দিতে এসে ‘মব জাস্টিসে’র কবলে ইবি ছাত্রলীগ নেতা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪০ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৫ PM
সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের একনেতা ‘মব জাস্টিসে’র কবলে পড়েছেন। এসময় তাকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনার সময় আব্দুল আলিম নামে ওই নেতাকে জুতার মালা পড়াতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন ছাত্রলীগের এই নেতা। আটককৃত আব্দুল আলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে ছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হলের সিট বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল আলিমের। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মানবিক সহায়তা গ্রহণ করলে সেখান থেকেও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের বিরোধিতা, সিট বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পরীক্ষা দিতে আসলে তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে। পরে ‘মব জাস্টিসে’র মুখোমুখি যাতে পড়তে না হয় সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাক সেফলি ইবি থানায় নিয়ে এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। তারপর যেন ‘মব জাস্টিস’ না হয় সেজন্য প্রক্টরিয়াল বডি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিরাপদে থানায় নিয়ে আসছি। এখানে তার বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা রয়েছে কি না, বা কোনো অভিযোগ রয়েছে কি না। এসব বিষয় দেখে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো মামলা হবে কি না জানতে চাইলে বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টারা এ বিষয়ে বসে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে তোপের মুখে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। আমরা আপাতত তাকে থানা হেফাজতে রেখেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যেভাবে আগাতে বলবে আমরা সেভাবে পদক্ষেপ নিবো।