ইবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আইইইই দিবস উদযাপিত 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইইই দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইইই দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়।  © টিডিসি

আনন্দ র‍্যালি, টি-শার্ট বিতরণ, কেক কাটা, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার (আইইইই) দিবস ২০২৪ উদযাপিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ র‍্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে ইইই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব নসরুল্লাহ।

উদযাপনের শুরুতেই ইবি ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মধ্য একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

কুইজ শেষে উপস্থিত সদস্যদের সামনে একটি প্রযুক্তিগত অধিবেশন প্রদর্শনী হয়। সেখানে কীভাবে সাইন্টিফিক রিসার্চ পেপার পাবলিশ করা যায়, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে কীভাবে সুযোগ পাওয়া যায়, ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

আর পড়ুন: দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত

শিক্ষার্থী রনক হাসান বলেন, ‘আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গর্বের এবং অনুপ্রেরণার দিন। বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের একটি বৃহত্তর অংশ হিসেবে আমরা যারা বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের অনুভব করতে পারি। দিবসটি উদযাপনের সময় প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আমাদের কাজের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যতে এটি কীভাবে আরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, তা উপলব্ধি করি। ইইই বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বিষয়গুলো নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত।’

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা যে শুধু একটি দেশ বা অঞ্চলের নয়, এটি যে সমগ্র বিশ্বের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আইইইই দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। দিবসটি উপলক্ষে আজকে আমরা কেবল প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ইতিহাসই উদ্যাপন করছি না; বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগের পথও প্রশস্ত করছি। আশা করি এই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারব।’

আর পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসির বাংলোর সিসিটিভির হার্ডডিস্ক গায়েব

উল্লেখ্য, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রচার করা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে ১৮৮৪ সালে বিশ্বব্যাপী একটি বৃহত্তম পেশাদার প্রযুক্তিগত সংস্থা আইইইই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে সারা বিশ্বে এদের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজরের বেশি সদস্য রয়েছে। আইইইই বিভিন্ন সম্মেলন, কর্মশালা, প্রকাশনা এবং পেশাদারী কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে সহায়তা করে। সংস্থাটি প্রতিবছর অসংখ্য গবেষণাপত্র এবং জার্নাল প্রকাশ করে, যা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।


সর্বশেষ সংবাদ