সাবেক কুবি ভিসিসহ ৩৫ জনের নামে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য (ভিসি) এএফএম আব্দুল মঈন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. শাখাওয়াত হোসেন।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য ভিসি অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈনকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আবু উবাইদা রাহিদ, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখকে আসামি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলাটিতে। মামলায় আরও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য ঢাবি অধ্যাপক শামসুল আলম
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ছিল ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে বের হয়ে একটু সামনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ পার হলেই একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী ও আবু উবাইদা রাহিদ, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখের নির্দেশে এজাহারনামীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালান।
মামলার বিষয়ে মো. শাখাওয়াত হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত ১৪ এবং ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে এরজন্য সাবেক ভিসি, প্রক্টরিয়াল টিম ইন্ধনদাতা হিসেবে কাজ করে। আমরা মনে করছি তাদের বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।