কুবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হলে অভিযুক্তদের ক্লাসে বয়কটের ঘোষণা সহপাঠীদের 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ  © ফাইল ছবি

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করায় ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করার হিড়িক পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের কেউ মারধর করলে তাঁকে বিভাগীয় কার্যক্রম ও শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বিভিন্ন বিভাগের ও বিভিন্ন ব্যাচের ফেসবুক পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিরহাম রেজা অয়ন নামের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, ‘কুবি প্রত্নতত্ত্ব থেকে বলছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো শিক্ষার্থী, সে ব্যাচমেট, জুনিয়র, বা সিনিয়র হোক না কেন, যদি আজ বা ভবিষ্যতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী তথা আমাদের ভাই-বোনদের ওপর আক্রমণের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের বিভাগ থেকে বর্জন করব।’

তিনি আরও বলেন, তার সাথে আমাদের কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। তাকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে সামগ্রিকভাবে বয়কট করা হবে।

আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গণহারে পদত্যাগ করছেন কুবির ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আলম বলেন, ‘কুবি লোকপ্রশাসন বিভাগের কোনো ব্যাচমেট যদি আজ, আগামীকাল কিংবা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের যেকোনো পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থী তথা আমাদের ভাই-বোনদের উপর আক্রমণের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায় কিংবা আন্দোলনকে যেকোনোভাবে নিরুৎসাহিত করা বা ব্যাঘাত ঘটানোর সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাকে আমাদের ব্যাচ থেকে বয়কট করব। ব্যাচের সব কার্যক্রম থেকে তাকে বয়কট করা হবে। আমাদের সঙ্গে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

একই ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশ এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ছাত্রলীগের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীদের অনেকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ