আইনের জোরে ‘যাচ্ছেতাই পিএইচডি’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে!

পিএইচডি ডিগ্রি
পিএইচডি ডিগ্রি  © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয়ে থাকে গবেষণার হাইপোসেন্টার। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত গবেষণালব্ধ নতুন নতুন জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যায়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যও তাই। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হয় পিএইচডি প্রোগ্রাম ঘিরে। আবার একজন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি বা ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদানের বিষয়টিকে উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিএইচডি ডিগ্রির চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও প্রশ্ন উঠছে মান নিয়ে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৭৫৩ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। তিন দশক আগে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি ডিগ্রি পেত, সেখানে প্রায় ত্রিশ বছরে ত্রিশগুণ পিএইচডি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রতিফলন বলে প্রতীয়মান হলেও এই সব পিএইচডি ডিগ্রির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠেছে আইনের জোরে পিএইচডি দেয়ার ক্ষেত্রে পাবালিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা নিয়েও।

তথ্য বলছে, সক্ষমতা না থাকলেও শুধুমাত্র সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে দেশের যেকোনো পাবলিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পিএইচডি ডিগ্রি অফার করার ক্ষমতা রাখেন। বিপরীতে শুধু আইনের অভাবে এই ডিগ্রি দেয়ার ক্ষমতা নেই দেশের প্রথম সারির প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে এমনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে অধ্যাপকের সংখ্যা দুই থেকে চারজন; অথচ তাদের আইনে পিএইচডি ডিগ্রি অফারের ক্ষমতা রয়েছে। এমন আইন বলেই সম্প্রতি পিএইচডি চালুর ঘোষণা দেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু সেই সক্ষমতা প্রতিষ্ঠানটির আছে কিনা- তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূলত এমন আইনের কারণেই একদিকে যেমন পিএইচডি ডিগ্রি অফারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তেমনি প্রশ্ন উঠছে এই ডিগ্রি ধারনকারীদের যোগ্যতা নিয়েও।

আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় দখল গণস্বাস্থ্যের মেডিক্যাল কলেজ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিএইচডি ডিগ্রি ধারকেরা সমাজে উচ্চসম্মানের অধিকারী হন এবং তাদের নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করতে পারেন; যা সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রে তাদের পরিচিতি এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বিতর্কিত পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, পিএইচডি প্রদানের ক্ষেত্রে নীতিমালার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়বদ্ধতা বেশি জরুরি। 

‘এটা কঠিন কোনো বিষয় নয়। যেখানে সকল প্রকার টার্মস এন্ড কন্ডিশন্স একইরকম হবে। কারা পিএইচডি পাবে, কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে, কত বছরে শেষ করতে হবে, কী কোর্স করতে হবে, থিসিস মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে, প্লেজারিজম থাকলে সিদ্ধান্ত কী হবে, সুপারভাইজার কী রোল প্লে করবে, এক্সটার্নাল যারা আসবে তারা কি রোল প্লে করবে— সমন্বিত নীতিমালায় এই ধরনের বিষয়গুলো স্পষ্ট থাকবে। তবেই এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভবড. এমরান হোসাইন, শিক্ষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন। এরপর থেকে তিনি নামের আগে ডক্টর ব্যবহার শুরু করেন। যদিও ডক্টরেট ডিগ্রি নেওয়ার প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতাই তার ছিল না। শর্ত শিথিল করে তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বেনজীরের পিএইচডি সুপারভাইজারকে নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

ড. কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি

এছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকীর পিএইচডি ডিগ্রি নথিভুক্তকরণ নিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি সুপারিশ না করলেও উপাচার্যের নির্দেশে তা নথিভুক্ত করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সহকারী অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পিএইচডি ডিগ্রির জন্য শিক্ষা ছুটিতে গেলে তার সেই পদ হস্তান্তর হতো। 

আরও পড়ুন: নর্থ সাউথে স্বেচ্ছাচারী-দুর্নীতিপরায়ণ ট্রাস্টিদের পুনর্বাসন হচ্ছে?

কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাদের পিএইচডি থিসিস সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। গবেষণার মান এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত না থাকায় তারা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সঠিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হন। ফলে মানহীন এ সকল পিএইচডির গুরুত্ব কতখানি কিংবা উচ্চশিক্ষার অগ্রগতিতে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষাবিদরা। তারা মনে করছেন, পিএইচডির মান রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে এখনই সচেতন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে সমন্বিত নীতিমালার প্রশ্নটিও ভেবে দেখা প্রয়োজন। 

‘আমার মনে হয়, তাদের এ সকল অনিয়মকে রোধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের শুরু থেকেই সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলো সমাধান হলে অন্য সমস্যাগুলোও সমাধান হতে পারে। কিন্তু ডিগ্রি অর্জনে যারা অনিয়ম করেছেন, তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে এনে সমন্বিত নীতিমালা করতে গেলে সেটি হবে আরেকটি অন্যায়ড. কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. এমরান হোসাইন জানান, উন্নত বিশ্বে পিএইচডি প্রদান এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে যে সকল নিয়মনীতি ফলো করা হয় আমাদের দেশে তার বিন্দু পরিমাণও অনুসরণ করা হয় না। পিএইচডি প্রদানের বিষয়ে ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, এথিকাল কনসার্ন, দায়বদ্ধতার মতো বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।

ড. এমরান আরও বলেন, বাংলাদেশে পিএইচডি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে গিভ এন্ড টেক, ক্ষমতা কিংবা ব্যক্তিস্বার্থের বিষয়গুলো মুখ্য থাকে। যাদের একটা ডিগ্রি প্রয়োজন কিংবা সামাজিক স্বীকৃতির মোহ থাকে; অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে ডিগ্রি অর্জন করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে রিসার্চ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান না থাকা ব্যক্তিরাও পিএইচডি ডিগ্রি পেয়ে যান। ফলে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হতে দেখা যায় না।

অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান ইউজিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক বলেন, ইউজিসি চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্ব দিয়ে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষজ্ঞগণই নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্বে থাকবেন; যেটা কঠিন কোনো বিষয় নয়। যেখানে সকল প্রকার টার্মস এন্ড কন্ডিশন একইরকম হবে। কারা পিএইচডি পাবে, কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে, কত বছরে শেষ করতে হবে, কী কী কোর্স করতে হবে, থিসিস মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে, প্লেজারিজম থাকলে সিদ্ধান্ত কী হবে, সুপারভাইজার কী-রোল প্লে করবে, এক্সটার্নাল যারা আসবে তারা কী রোল প্লে করবে— সমন্বিত নীতিমালায় এই ধরনের বিষয়গুলো স্পষ্ট থাকবে। তবেই এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। 

‘আমরা এর আগেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু ইতিবাচক ফল আসেনি। সমন্বিত নীতিমালা থাকলে ছুটি না নিয়ে পিএইচডি কিংবা যোগ্যতা না থাকলেও ডিগ্রি অর্জনের মতো ঘটনাগুলো ঘটতো না। অযোগ্যরা পিএইচডি গ্রহণ করায় এখন বহির্বিশ্বে আমাদের পিএইচডি হোল্ডাররা নিম্নতর কাজের জন্য আগ্রহী হতেন নাঅধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাবেক চেয়ারম্যান ইউজিসি

তবে ভিন্নমত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। তিনি মনে করেন, ‘নিয়ম ভাঙার খেলায় মত্ত হয়ে পিএইচডি প্রদানের বিষয়টি দুঃখজনক। পিএইচডি হলো একজন গবেষকের দীর্ঘকালের কষ্টার্জিত চিন্তার স্বীকৃতি। গবেষণা করতে হলে একজন গবেষককে দিন-রাত ভাবতে হয়। কিন্তু বেনজির কীভাবে পিএইচডি পেয়েছেন কিংবা অন্য যারা ন্যূনতম শর্ত পূরণ না করেই ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং এতে কি লেনদেন ছিল তাও আমাদের কাছে পরিষ্কার।’

অধ্যাপক কামরুল হাসান আরও যোগ করেন, আমার মনে হয়, এ সকল অনিয়মকে রোধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের শুরু থেকেই সমস্যা আছে। সেই সমস্যাগুলো সমাধান হলে অন্য সমস্যাগুলো সমাধান হতে পারে। কিন্তু ডিগ্রি অর্জনে যারা অনিয়ম করেছেন তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে এনে সমন্বিত নীতিমালা করতে গেলে সেটি হবে আরেকটি অন্যায়।

আরও পড়ুন: ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক আলমগীরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি জানান, আমরা এখন ইউজিসির জমে থাকা কাজগুলো জরুরি ভিত্তিতে শেষ করার দিকে নজর দিচ্ছি। তবে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতের বিষয়গুলো আমাদের প্রধান কাজ। যে বিষয়গুলোর কারণে এতদিন পিএইচডি গ্রহণ এবং প্রদান প্রশ্নবিদ্ধ হতো সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে টোটাল কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ নিব।

‘উচ্চশিক্ষায় পিএইচডির কাঠামো নিয়ে এমন কোন দুর্বলতা রাখা হবে না, যেটার কারণে অনিয়ম করে কেউ পার পেয়ে যাবে। বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আগে যা হয়েছে কোনোভাবেই যেন সেটার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ না থাকে, সেটা নিয়েও আমরা লক্ষ্য রাখবঅধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান, সদস্য, ইউজিসি

ড. তানজীমউদ্দিন আরও জানান, ‘উচ্চশিক্ষায় পিএইচডির কাঠামো নিয়ে এমন কোন দুর্বলতা রাখা হবে না, যেটার কারণে অনিয়ম করে কেউ পার পেয়ে যাবে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। আগে যা হয়েছে কোনোভাবেই যেন সেটার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ না থাকে, সেটা নিয়েও আমরা লক্ষ্য রাখব।’

অধ্যাপক ড. তানজীমউদ্দিন খান, সদস্য, ইউজিসি

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত তাদের নিজস্ব আইন দারা পরিচালিত হয়। কিন্তু আমরা আশা করি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং যাচাই-বাছাই ব্যতীত তারা পিএইচডি ডিগ্রি দিবে না। তবে যে-সকল ডিগ্রির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন এবং অনিয়মের খবর আসে সেগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমরা জানতে চাইতে পারি। এছাড়াও এসব বিষয়ে ইউজিসির নজরদারি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিষয়টিকে ভাবনায় রেখেছে, তবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ আমার পরিবারে কেউ নেই’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় এক্ষেত্রে ইউজিসি তেমন কিছু করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব আইনে চলে। আমরা এর আগেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু ইতিবাচক ফল আসে নি। সমন্বিত নীতিমালা থাকলে ছুটি না নিয়ে পিএইচডি কিংবা যোগ্যতা না থাকলেও ডিগ্রি অর্জনের মতো ঘটনাগুলো ঘটতো না। অযোগ্যরা পিএইচডি গ্রহণ করায় এখন বহির্বিশ্বে আমাদের পিএইচডি হোল্ডাররা নিম্নতর কাজের জন্য আগ্রহী হতেন না।


সর্বশেষ সংবাদ