পদোন্নতি পেলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষক
- গবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৫৬ PM , আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০১ PM
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) সিনিয়র প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি পেয়েছেন ১৫ জন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ কর্তৃক স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি প্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আতিকুর রহমান এবং মো. রাসেল মিয়া। আইন বিভাগের তৌহিদা সরকার। ফার্মেসি বিভাগের মোছা. মাহফুজা খাতুন, মাহমুদুল ইসলাম, মো. আব্দুর রউফ। ইংরেজি বিভাগের আফরোজা সিদ্দিকা। বাংলা বিভাগের আতি-উন নাহার।
আরো পদোন্নতি পেয়েছেন, ফলিত গণিত বিভাগের মালতি মজুমদার। ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ডা. রোকেয়া আহমেদ। রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের ড. মো. আলী আজম খান, মাহমুদা বেগম এবং মোহাম্মদ আসিফ চৌধুরী। অর্থনীতি বিভাগের ড. শামিমা আক্তার এবং সমাজ বিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের মাহমুদুল হাসান।
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষক ডা. রোকেয়া আহমেদ বলেন, `২০১৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউজিসি সমস্যা সমাধান, ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষক পদোন্নতি, সমাবর্তন অনুষ্ঠান, গবেষণা উন্নয়ন এবং নিয়মিত পরীক্ষা। সম্প্রতি শিক্ষকদের পদ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এই অগ্রগতি আমাকে আনন্দিত করেছে। আশা করি, এই ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।'
সদ্য পদোন্নতি হওয়া সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, `আমি ২০১৪ সালে যোগদান করি এবং ২০২০ সালে সিনিয়র লেকচারার হয়েছি। সাড়ে তিন বছর পর আমি সহকারী অধ্যাপক হয়েছি। পদোন্নতির ধাপ ৮টি থেকে কমিয়ে ৪টি করা হয়েছে, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ। এটি নতুন শিক্ষকদের কর্মজীবনে সময় কমাবে এবং ভালো শিক্ষক নিয়োগে সাহায্য করবে।'
ফলিত গণিত বিভাগের মালতি মজুমদার বলেন, `আমি ২০১৫ সালে কর্মজীবন শুরু করি। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু বাধা-বিপত্তির কারণে আমার প্রথম পদোন্নতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রশাসনের প্রচেষ্টায় এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়েছে। এই পদোন্নতি আমার কাছে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। আসলে, কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করছে, যা যথার্থই প্রশংসনীয়।'
শিক্ষকদের পদোন্নতি বিষয়ে রেজিস্ট্রার জানান, `পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে কিছু মানদণ্ড অতিক্রম করতে হয়। চারটি ধাপে পদোন্নতি দেওয়া হয় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক। এবার যারা পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই সিনিয়র প্রভাষক হিসেবে ৩ বছর দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছেন এবং ৪ টা পাবলিকেশন আছে তাদের। তবে অনেকেই ৩ বছর দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু পাবলিকেশনের অভাব আবার কারো পাবলিকেশন থাকলে মেয়াদ পূর্ণ করেন নাই, তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।'
উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, `পদোন্নতি হলো একটি স্বাভাবিক ও নিয়মিত প্রক্রিয়া। ট্রাস্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাঁরা পদোন্নতির যোগ্য ছিলেন, তাঁদেরকে উচ্চতর পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো, পদোন্নতির ধাপগুলি আগের ৮টি থেকে কমিয়ে বর্তমানে ৪টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি প্রক্রিয়াটিকে আরও সুসংহত ও কার্যকর করছে।'