ভিডিও কলে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর দৃশ্য ফাঁস, ইবি রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতির দাবি
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মেসেজিং অ্যাপের ভিডিও কলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের সঙ্গে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর দৃশ্য ফাঁস হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভিডিওটি এআই এডিটেড বলে দাবি করেছেন রেজিস্ট্রার। রেজিস্ট্রারের বিভিন্ন সময়ে লেনদেন সংক্রান্ত অডিও ও সর্বশেষ নগ্ন ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম।
রবিবার (২ জুন) সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সভা শেষে ভিসির সাথে সাক্ষাৎ করে সংগঠনটির সদস্যরা লিখিতভাবে দাবিগুলো উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: ভিডিও কলে নারীর সঙ্গে ইবি রেজিস্ট্রারের আপত্তিকর দৃশ্য ফাঁস!
চিঠিতে তারা বলেন, রেজিস্ট্রার পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। পদাধীকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে উপস্থিত থাকতে হয়। এমন একটি অশ্লীল ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সভা ও দাপ্তরিক কাজে তার উপস্থিতি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত ঘটনার সত্যতা উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান ও সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া রেজিস্ট্রারের এক ঠিকাদারের সাথে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে একটি অডিও প্রকাশিত হওয়ার ফলে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশ হয়নি। সেই রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশ করার দাবি জানান তারা।
এর আগে শনিবার (১ জুন) ‘ইবির ত্রাস’ নামক ফেসবুক আইডিতে এটি পোস্ট করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ফাঁস হওয়া ভিডিও কলের স্ক্রিন রেকর্ডটি ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের। সেখানে ইবি রেজিস্ট্রার আালী হাসান ও বিপরীত পাশের নারীকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। তবে ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া এই ভিডিওটি এআই দিয়ে তৈরি কিংবা ফেইক কিনা তা যাচাই করেনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।
ভিডিওর বিষয়ে রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ভিডিওটি এআই দিয়ে এডিট করা। আমাকে হেনস্তা করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি পক্ষ এসব করেছে।