জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাসে (মূল ক্যাম্পাস) ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্নসচিব পারেভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রাম চালু করা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেশনে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ার লক্ষ্যে তাদের পছন্দ ও প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি করানো ও এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাসে প্রোগ্রামের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এ ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালুসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

সর্বশেষ আজ সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৭ মে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরারব এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও কোনো উত্তর না পাওয়ায় ফের স্মারকলিপি প্রদান এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

তারা বলেন, পুনরায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো প্রতিউত্তর না পেলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য অগ্রসর হবে।

পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সিন্ডিকেট খসড়া এজেন্ডা সকল শিক্ষার্থীদের অবহিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের জরুরি ভিত্তিতে অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম অব্যহত করা প্রসঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ এবং প্রতিনিধি দলের শিক্ষার্থীদের অন্তত ৪ জনকে অন্তর্ভুক্তকরণ, ভর্তিকৃত ১৬০ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন, শিক্ষার্থী কর্তৃক পরিকল্পিত রিটের সকল ব্যয়ভার ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সাহায্য করণ, প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অনার্স কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সুনিশ্চিত করার দাবি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ