নতুন প্রো-ভিসি নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

  © প্রতীকী ছবি

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: প্রো-ভিসি নিয়োগ দুপুরে, রাতে স্থগিতের নেপথ্যে দুই কারণ’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রেরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো গঠনমূলক আলোচনা, সমালোচনাকে সাধুবাদ জানায়। সত্য এবং বাস্তব যেকোনো বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা গ্রহণের জন্য সব সময়ই প্রস্তুত আমরা। কিন্তু অসত্য তথ্য পরিবেশনের বিষয়টি আপনার অনলাইন পোর্টাল থেকে প্রত্যাশিত নয়। 

এতে আরও বলা হয়, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: প্রো-ভিসি নিয়োগ দুপুরে, রাতে স্থগিতের নেপথ্যে দুই কারণ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এই সংবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে অসত্য তথ্য পরিবেশনায় পেশাদারিত্বকে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। নিচে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরা হলো।

‘কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে নিয়োগ-স্থগিত বিষয়টি প্রথমত পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বর্তমানে দায়িত্ব পালন করা শীর্ষ এক ব্যক্তি, ড. মিজান যোগদান করলে সেই শীর্ষ ব্যক্তি পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশেষ একটি অঞ্চলের আধিপত্য-প্রাধান্য। নতুন প্রো-ভিসি ড. মিজান সেখানে যোগদান করলে তাদের সেই আধিপত্য-প্রাধান্য কমে যাওয়ার শঙ্কা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।’- প্রতিবেদনে প্রকাশিত এসব তথ্য সঠিক নয়। প্রতিবেদনে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো আঞ্চলিক আধিপত্য নেই। কল্পিতভাবে এই তথ্য লেখা হয়েছে। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রায়শই বলে থাকেন মানচিত্রসম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেশপ্রেমিক ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় পবিত্র দায়িত্ব পালন করে থাকে। বাংলাদেশের প্রতিজন নাগরিকেরই স্ব স্ব জন্মস্থান রয়েছে। তাই বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনার ক্ষেত্রে অঞ্চলের বা অঞ্চলের লোকদের প্রাধান্য কাঙ্ক্ষিত নয় এবং এই দর্শনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বাসও করে না। আঞ্চলিকতা প্রসঙ্গটি আপনার প্রতিবেদনে আনা হয়েছে তার ভিত্তিতে কোনো রূপ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপিত হয়নি এবং বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ যোগ্যতা ও নিষ্ঠা বিবেচনায় বর্তমান প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিকতার যে প্রসঙ্গ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি বরং পক্ষপাতদুষ্ট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। এহেন দৃষ্টিভঙ্গি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিপন্থী। এরূপ প্রতিবেদনের বিষয়ে আপনাদেরকে আরও যত্নবান হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।  

বর্তমান উপাচার্যের সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট নিরসন, অ্যাকাডেমিক ফিজিক্যিাল মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স প্রবর্তন, আইসিটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন, সকল শিক্ষার্থীর জন্য আইসিটি অবশ্যপাঠ্যকরণ, দেশে বিদেশে কলেজ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, এফসিসহ নীতিনির্ধারণী সকল পর্ষদের সভা স্বাচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য নিয়মিত করা হয়েছে। কারিকুলামর পরিমার্জন ও আধুনিকীকরণসহ বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। 

আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বর্তমান উপাচার্য এবং তার টিম যে সাফল্য ও দক্ষতা দেখিয়েছেন তা পরিপূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে নিয়ে এক ব্যতিক্রমী অগ্রযাত্রা।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
সংবাদটিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রো-ভিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এখানে কাউকে হেয় করার জন্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি বা প্রতিবেদকের নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে করা হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ