অবন্তিকার মায়ের ভাষ্যে উঠে আসল আরও ৬ জনের নাম

ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম
ফাইরুজ অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর কুমিল্লার বাগিচাগাঁও এলাকার বাসায় বিলাপ করছিলেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। তিনি বলছিলেন, ‘আমিতো কোনোদিন কারও কোনো ক্ষতি করি নাই। আমার মেয়েতো চলে গেল, এক বছর আগে আমার স্বামী চলে গেছে।’

অবন্তিকার মা বলেন, আজ আমি মেয়েকেও হারালাম। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব। আমার জীবনের কোনো মানে নেই, ছেলেসহ আমিও সুইসাইড করলেও কোনো মানে থাকবে না।

তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বার বার জানিয়েও হয়রানির বিচার পাননি তারা। এ কারণেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আম্মান, রাফি, মাহিয়ান, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা ও দ্বীন ইসলাম আমার মেয়ের জীবনটাকে বিষিয়ে তুলেছিল। তারা বিভিন্নভাবে আমার মেয়েকে হয়রানি করে আজকের অবস্থার সৃষ্টি করেছে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘আমি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টর সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, বিষয়টির সৃরাহার জন্য। আমার মেয়ে যাতে ভালোভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারে, সেটি আর হলো না। ওদের জন্য আমি মেয়ে হারিয়েছি, আমি তাদের বিচার চাই।’

গতকাল শুক্রবার রাতে ফাইরুজ অবন্তিকা নামের ওই ছাত্রী কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন। পরে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

এদিকে, মৃত্যুর আগে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মৃত্যুর জন্য নিজের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে গেছেন অবন্তিকা।

এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং আম্নান সিদ্দিকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেতন দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ