রিডিং রুমের পাশে গাঁজার আসর বন্ধ চান বেরোবি শিক্ষার্থীরা

প্ল্যাকার্ড হাতে বেরোবি শিক্ষার্থীরা
প্ল্যাকার্ড হাতে বেরোবি শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের রিডিং রুম সংলগ্ন টিভির রুমে গাঁজার আসর বন্ধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে উচ্চস্বরে গানবাজনার প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রিডিং রুম বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু হলের রিডিং রুমের সামনে অবস্থিত ২০৪ নং কক্ষে এবং টিভির রুমে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো, গাঁজাসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করছেন কিছু শিক্ষার্থী।  প্রায় প্রতিদিনই ছাত্রনেতাদের সাথে বহিরাগতরাও এসে মাদক সেবন করেন এই রুমে। মাদকসেবনের সময় তারা উচ্চস্বরে গানবাজনা করে। এতে ওই রুমের সামনে অবস্থিত রিডিং রুমের শিক্ষার্থীদের পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ওই রুমের নেতাদের একাধিকবার অসুবিধার কথা জানালেও উল্টো শিক্ষার্থীদের ওপরে চড়াও হন নেতারা। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টায় ২০৪ নম্বর রুমে প্রতিদিনের মতো গাঁজার আসর বসলে গন্ধে এবং উচ্চস্বরে গানবাজনায় পড়তে অসুবিধা হয় শিক্ষার্থীদের। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে হইচই করতে নিষেধ করলে তারা শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে মারার জন্য তেড়ে আসে এবং পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসলে তাঁরা রুমে চলে যায়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেয় এবং পড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রিডিং রুম বর্জন করার ঘোষণা দেয়। 

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হলের ২০৪ নং কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ ও এই বিভাগের আলামিন থাকে। তাদের সাথে প্রতিরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের অন্য শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা এসে যোগ দিয়ে মাদক সেবন করেন।

রিডিং রুমে পড়তে আসা স্বাধীন সরকার বলেন, ২০৪ নম্বর রুম থেকে প্রতিদিনই গাঁজার গন্ধ আসে। রিডিং রুমে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে টোন করে এবং কটু কথা দিয়ে তারা প্রতিনিয়ত উত্যোক্ত করে আসছে। এতে আমাদের পড়ার মনোযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা হল প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই। সেই সাথে রিডিং রুমে পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট ড. বিজন মোহন চাকি বলেন, আমি ঘটনাটি রাতেই জেনেছি। অভিযোগ পেলে আমি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


সর্বশেষ সংবাদ