অধ্যাপককে হুমকি জবি শিক্ষার্থীর, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবিরকে হুমকির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এতে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালের কাছে অনুলিপি দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ আগস্ট (সোমবার) বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষকদের বাস ছাড়ার পূর্ব মূহুর্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির বর্তমান সভাপতি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম সাঈদ ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি হিসাবে বিভাগ থেকে তার পছন্দের প্রার্থীর নাম না পাঠানোর জেরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. শাহ মো.নিসতার জাহান কবিরের সাথে চরম ধৃষ্টতামূলক আচরণ করেন এবং প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। বুধবার (৩০ আগস্ট) বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। উক্ত ঘটনায় বিভাগ চরমভাবে অপমানিত। বিভাগের চেয়ারপার্সন একজন অধ্যাপক এবং জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। তার সাথে এমন ধৃষ্টতামূলক আচরণ বিভাগের সকল সহকর্মীদের জন্য পীড়াদায়ক এবং এর সাথে বিভাগের ভাবমূর্তি জড়িত।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন ছাত্রলীগের ২৯ নেতা
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভাগ মনে করে ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনে প্রতিনিধি পাঠানো একান্তই বিভাগের নিজস্ব বিষয়। এক্ষেত্রে কারো তরফ থেকে কারো নাম উল্লেখ পূর্বক প্রভাবিত করা বা চাপ প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই বলে একাডেমিক কমিটি বিশ্বাস করে।
বিভাগের একাডেমিক কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এবং শিক্ষকের সম্মান সমুন্নত রাখাতে ভবিষ্যতে কোন শিক্ষক যেন এমন আচরণের শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে দ্রুত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল বলেন, আমি আজ লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। উপাচার্য মহোদয় ক্যাম্পাসে আজ না আসায় আগামীকালের মধ্যে কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমরা জেনেছি। আলাদা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এখন দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।