পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় চায় ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২৩ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৪৭ PM
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। একইসঙ্গে এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, নবম পে-স্কেল, সাধারণ আর্থিক নীতিমালা, রাজস্ব নীতিমালা, আর্থিক অনুমোদন ক্ষমতার যথার্থ প্রয়োগ এবং খরচের সঠিকভাবে বিল উপস্থাপনের আহবান জানান তিনি।
‘অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম (এএমএমএস) ২.০’ সফটওয়্যার ব্যবহার বিষয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
ঢাকা অঞ্চলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের এএমএমএস সফটওয়্যার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে ইউজিসি। সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ইউজিসি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন সরকারের
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুনিল কুমার সিংহ এবং এএমএমএস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফুল ইসলাম।
অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট আপত্তি যেন না হয় সেজন্য সরকারের ক্রয় নীতি অনুসরণ, বিলসমূহের সাথে ভাওচার ও ভ্যাট-ট্যাক্স যথানিয়মে পরিশোধের তথ্য, বেতন-ভাতারক্ষেত্রে জাতীয় পে-স্কেল মেনে চলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এবং অডিট আপত্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে আর্থিক নিয়মাবলীসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেম সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার এবং গতিশীলতা বাড়বে। অডিট প্রক্রিয়া আরও কম সময়ে স্বল্প খরচে করা সম্ভব হবে এবং অডিট আপত্তির সংখ্যাও কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিকসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত, জনগণের ট্যাক্সের অর্থের সঠিক ব্যবহার করা এবং আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা ইউজিসির অন্যতম লক্ষ্য। এএমএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার বিষয়ে এই প্রশিক্ষণ অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইউজিসির উপপরিচালক (অডিট) মো.আব্দুল মান্নানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল প্রধান ও অডিট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ অডিট প্রতিষ্ঠান মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) থেকে প্রকাশিত এক অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্টে ২৫ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি নিয়মবহির্ভূতভাবে ব্যয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউজিসি ও ২৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাবের ওপর নিরীক্ষা করেছে।