কুবিতে বিভাগীয় সভাপতি নিয়োগে জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৩, ০১:২২ PM , আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৫ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ না মেনে বিভাগে সিনিয়র অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও এক সহযোগী অধ্যাপককে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে পদ বঞ্চিত অধ্যাপক বিষয়টিকে আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন ও মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে দাবি করে রোববার (৯ জুলাই) উপাচার্য বরাবর চিঠি দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর পদ ফিরিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং প্রচলিত নিয়ম সুরক্ষা করার দাবি জানান তিনি।
পদ বঞ্চিত ঐ অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যপক ড. মো. আবু তাহের।
জানা যায়, গত ১৫ জুন রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হিসেবে সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-২০০৬ এর ২৪ নং ধারা অনুযায়ী বিভাগীয় শিক্ষকদের মধ্য হইতে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বছর মেয়াদে উপাচার্য কর্তৃক বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই জেষ্ঠ্যতা অনুসারে বিভাগীয় সভাপতি হওয়ার কথা ছিল অধ্যাপক ড. মো. তাহেরের।
আরও পড়ুন: ফুলব্রাইট স্কলারশিপে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতার সুযোগ, কাজ বাংলার পাঠদান
পদ ফেরত চেয়ে চিঠিতে অধ্যাপক তাহের বলেন, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়াকে বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব প্রদান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে এবং প্রচলিত নিয়মেরও ব্যত্যয় ঘটেছে। যা ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ বছরের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। এতে আমার মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি সামাজিকভাবে ও হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি বর্তমানে বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত আছি এবং দায়িত্ব পেলে সততা ও নিষ্ঠার সহিত আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।
উপচার্যকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আপনি বিষয়টি সু-বিবেচনার সহিত দেখবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং প্রচলিত নিয়মের সুরক্ষা করবেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ১৮ জুন রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়েই তিনি উপাচার্য চিঠি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন দেশের বাইরে থাকায় তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহম্মদ হুমায়ুন কবির কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি আমার কাছে আসেনি, সেহেতু আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।