২১ জুন ২০২৩, ১৪:২৫

আন্দোলনে গুরুতর অসুস্থ বাঙলা কলেজের জামান

আহত জামানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সাত দফা আন্দোলনে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাঙলা কলেজের জামান নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাঙলা কলেজের জামানের বন্ধু ও একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জামানের তিন বিষয়ে অকৃতকার্য আসছে। গণিত, অর্থনীতি ও ইতিহাস। বাকি সব সাবজেক্টে সে ভালো করেছে। সবগুলো সাবজক্টে ভালো করেও কি করে তিন সাবজেক্টে অকৃতকার্য আসে! এটা আসলে মেনে নেওয়া যায়।

সাব্বির বলেন, আমাদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে টানা আন্দোলনে আছি আমরা। এ আন্দোলনে এসে আজ জামান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার হিট স্ট্রোক হতে পারে। তাকে নীলক্ষেত মোড় থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা হবে।

এর আগে এদিন সকাল থেকে সাত দফা দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো নীলক্ষেত মোড় দখলে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যকত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে আজিমপুর থেকে মিরপুরগামী যাত্রীদের পায়ে হেঁটে যাতায়ত করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: সাত দাবি নিয়ে ইডেন কলেজের গেটে সাতকলেজ শিক্ষার্থীরা

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে; যে সকল শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত  অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন- প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত  মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল  পরীক্ষার  সুযোগ দিতে হবে;

সকল বিষয়ে পাশ করার পরও একটা স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেম এর জন্য নন প্রোমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে; বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস ( ৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; 

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে/কারা? কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে; একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।