আঁখির মতো কারও এমন পরিণতি যেন না হয়: ইডেন অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ও মাহবুবা রহমান আঁখি
অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য ও মাহবুবা রহমান আঁখি  © ফাইল ছবি

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য বলেছেন, আমার প্রতিষ্ঠান গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনাকে দুঃখজনক বললেও কম হয়ে যাবে। আমরা ভীষণভাবে শোকাহত-মর্মাহত।

রাজধানীর গ্রীণ রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে ডাক্তারের প্রতারণা ও ভুল চিকিৎসায় ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আজ সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে এসব কথা বলেন তিনি। 

অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া বলেন, এমন ঘটনা যেমন দুঃখজনক তেমনি পীড়াদায়কও। আঁখি কলেজের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে বিভাগে  অত্যন্ত মেধাবী এবং চৌকস ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল। অনার্সের রেজাল্ট ছিল ৩.২৮। ঘটনার শুরুতেই আমরা যখন বিষয়টি জানতে পেরেছি এরপরেই আমাদের গণিত বিভাগের শিক্ষকদেরকে পাঠিয়েছি৷ বাঁধন ইডেন মহিলা কলেজ ইউনিটের মেয়েরাও রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তবে তাদের আর রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ঢাকা কলেজের ছাত্ররাই আঁখিকে রক্ত দিয়েছে। আমি সেজন্য ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধন্যবাদ জানাই। 

তিনি বলেন, আমাদের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ তার সহপাঠীরা সার্বক্ষণিক সেখানে ছিল। তারাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। এই ঘটনায় ফলে আমরা আসলে খুবই শোকাহত। 

আর কারও যেন এমন পরিণতি ভোগ করতে না হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা অবশ্যই চাই যেন আর কারও এমন পরিণতি না হোক। এটা আমাদের সবসময় চাওয়া। আর কেউ যেন এই ধরনের অবস্থার শিকার না হয়। কারো পরিবারে যেন এমন দুঃসময় না আসে।  আমরা সবাই খুব কষ্ট পেয়েছি। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।

প্রসঙ্গত, এরআগে সকালে সেন্ট্রাল হসপিটালের প্রতারণা ও ভুল চিকিৎসায় ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল লাইসেন্স বাতিলসহ মোট ৪ দফা দাবিতে ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

চার দফা দাবিগুলো হলো— ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে নবজাতক ও আঁখিকে  হত্যাকারী ডাক্তার সংযুক্তা সহ জড়িত ডাঃ দের লাইসেন্স বাতিল করে , গ্রেফতার করতে হবে; সেন্ট্রাল হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল করে পরিচালক কে গ্রেফতার করতে হবে; দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠন এর মাধ্যমে সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; সেন্ট্রাল হাসপাতাল আঁখির পরিবারকে ২ কোটি আর্থিক ক্ষতিপূরন দিতে হবে।

এসব দাবি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে বলেও জানান তারা।


সর্বশেষ সংবাদ