ঊর্মি হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন 

ঊর্মি হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন 
ঊর্মি হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন   © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম ঊর্মির হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিন মায়ের হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধনে সামিল হন  কথা বলতে না পারা দেড় বছরের ছোট্ট শিশুটিও।

রবিবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।  

এসময় ‘আমার বোনের হত্যার বিচাই চাই’, ‘হত্যাকারীর ফাঁসি চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে তারা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে, পৌনে ১২টায় তারা অনুষদ ভবন থেকে প্রতিবাদ র‍্যালি বের করে। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হন।

মানববন্ধনে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও ড. এরশাদুল হকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উর্মীর মা, বাবা ও ছোট বোন মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে তার সহপাঠীরা বলেন, ঊর্মি আমাদের সবসময় বলতো আমার ছেলেকে অনেক বড় করবো। যার ভিতরে সন্তানকে নিয়ে এমন স্বপ্ন থাকে সে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। তার স্বামী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাম দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

এসময় বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যুরালের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি ঊর্মি হত্যার বিচারের দাবিতে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল শিক্ষার্থীরা এই হত্যা-কাণ্ডের বিচার চাই। 
অভিযুক্তরা এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর পায়তারা করছে; আমরা তা হতে দিব না। আমরা চাই কোন রকম কাল বিলম্ব না করে দ্রুত এর বিচার হোক—যুক্ত করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় ঊর্মীর মা বলেন, আমি চাইতাম আমার মেয়েটা মানুষের মতো মানুষ হোক। আমার মেয়ের  কপালে যা ঘটে গেছে তার জন্য আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এসেছি। সমস্ত ছাত্র সমাজের কাছে আমার আবেদন তারা আমার মেয়ে হারানোর যন্ত্রণাটাকে নিজেদের যন্ত্রণা মনে করে এবং তারা ন্যায় বিচারের দাবি করে।সবাই যেন আমরা একসাথে আমার মেয়ের প্রত্যাশা জনক বিচারের দাবিতে এক হয়ে রাস্তায় নামতে পারি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী মোড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম ঊর্মিকে (২৩) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ নিহত ঊর্মির পরিবারের। এ ঘটনায় সেসময় ঊর্মির পরিবার বাদী হয়ে গাংনী থানায় হত্যা মামলা করে। ঘটনার এতদিন পরেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা। বরং এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তাদের।


সর্বশেষ সংবাদ