ববির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভুলে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
- ববি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৪ PM , আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০৯ PM
ইস্টার সানডের ছুটির দিনে পরীক্ষার তারিখ দিয়ে আবার প্রত্যহার করে নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস। ৯ এপ্রিলের স্থগিত পরীক্ষা কিছু বিভাগের চলতি মাসে, কিছু বিভাগের পরীক্ষা আগামী মাসে চলে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষু্দ্ধ তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ ভর্তি শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষার্বর্ষের গণিত বিভাগ,২০২১-২২শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্স ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি পরীক্ষা রূটিন অনুযায়ী ৯ এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পক্ষে স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ৯ এপ্রিলের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করায় ক্ষুদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়। রোকন নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, কতটা উদাসীন হলে এমনভাবে রুটিন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কাজ কি তাই হয়তো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানেন না!
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিলের স্থগিত পরীক্ষা রসায়ন ও গণিত বিভাগের এপ্রিলের ১০ তারিখ, লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ১৭ এপ্রিল, মার্কেটিং বিভাগের স্নাতক প্রথমবর্ষ ও ফিন্যান্স বিভাগের মাস্টার্সের ৭ মে ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের পরীক্ষা আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে অধিকাংশ বিভাগের ঈদের আগেই সব পরীক্ষা শেষ হওয়া কথা থাকলেও ৯ এপ্রিলের পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ও সেজনজটের কবলে পড়ার আশঙ্কার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী কামাল (ছদ্মনাম) বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই আমরা রুটিন অনুযায়ী পড়াগুলোর সঙ্গে একটা টাইম সেট করে থাকি। এতে মানসিকভাবে এগিয়ে থাকা যায়। এখন পরীক্ষা পেছানোয় সব পরীক্ষার মধ্য একটা ইমব্যাল্যান্সড পরিস্থিতি তৈরি হলো। আবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় ঈদের পরে দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক সপ্তাহ ক্লাস হতো সেটাও পিছিয়ে গেল।
তিনি বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ পরই আবার পুরো মে মাস বন্ধ। তীব্র সেশনজটের আশঙ্কায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা অজ্ঞ হলে ইস্টার সানডের বন্ধ বানিয়ে রোববারের ছুটি সোমবার দিয়ে রাখে একাডেমিক ক্যালেন্ডারে!
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আজমির হাসান রিসাদ বলেন, কতটা উদাসীন হলে এমনভাবে রুটিন তৈরি করতে পারে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। ইস্টার সানডের বন্ধ তা দেখে রুটিন করেনি। এখন পরীক্ষার আগ মুহূর্তে নোটিশ দিচ্ছে যে, পরীক্ষা স্থগিত। উদাসীনতার একটা মাত্রা থাকে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক স.ম. ইমানুল হাকিম বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের স্বাক্ষর সম্বলিত পরীক্ষা স্থগিত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষর করেছে।’
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাজ্জাদ উল্লাহ ফয়সাল বলেন, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের দেখে রুটিন করা হয়েছে। ক্যালেন্ডারে ছুটি ছিল না, তাই এমনটা হয়েছে।