ইবি ছাত্রকে হলের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের এক আবাসিক ছাত্রকে হলের বৈধ সিট থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে হলের আাবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. পার্থ সারথী লস্কর ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েলকে সদস্য করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ লালন শাহ হলে সংঘটিত ঘটনা এবং আবাসিক শিক্ষার্থী মাহাদি হাসানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসানকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার আবাসিকতা নিশ্চিত ও নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্র।
আরও পড়ুন: ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন প্রথম আলো সম্পাদক
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ বাইরে থেকে কক্ষে গিয়ে দেখে তার তোশক-বালিশ ও বই-খাতাসহ অন্য জিনিসপত্র করিডোরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরেকজন এসে তাকে জানান যে, হলের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগকর্মী ফহিম তাকে ডেকেছে। ওই কক্ষে গেলে তিনি কোন রুমে থাকেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ছাত্রলীগকর্মী তরুন, ফাহিম ও রাজু। এ সময় তিনি তার আবাসিকতাপ্রাপ্ত কক্ষে থাকার বিষয়ে জানান তাদের।
একপর্যায়ে তারা বলেন, ‘কে তোরে হলে তুলছে? এসব আবাসিকতার কাহিনী বাদ দে। আমরা যা বলব হলে তাই হবে।’ এছাড়া আরও বলেন তুই আমদের চিনিস? এখনো ভালোই ভালো ৪২৮ (কক্ষ) থেকে সবকিছু নিয়ে কোথায় যাবি যা।’ পরে নিরুপায় হয়ে বৈধ কক্ষ থেকে বের হয়ে তার বন্ধুর কক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাহাদী। শনিবার আবাসিকতা নিশ্চিত ও নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রভোস্টের কাছে আবেদন করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত বাংলা বিভাগের তরুণ, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের রাজুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা সকলেই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী।