স্বাধীনতা দিবসে ফুল দিতে এসে কুবি ছাত্রলীগের হট্টগোল
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ নিয়ে হট্টগোলে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। রবিবার (২৬ মার্চ) ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সামনেই এ হট্টগোলে জড়ান ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
স্বাধীনতা দিবসে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রশাসনিক ভবনস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। এসময় শাখা ছাত্রলীগের ক্যাম্পাস গ্রুপের সদস্যরা ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার পর হলের পক্ষ থেকে ফুল দিতে গেলে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উভয় গ্রুপ বাগবিতণ্ডায় জড়ান। এরপর একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে তেড়ে আসলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রের নাকে-মুখে অনবরত স্টাম্পের আঘাত গ্যাংয়ের সদস্যদের
পরে দুইপক্ষ অবস্থান নেওয়ার পরে বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্যের সামনে এক পক্ষের নেতা কাজী নজরুল ইসলাম হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুল হক শিপন হল সভাপতি পলাশকে উদ্দেশ্য করে উচ্চবাচ্য করেন। পরে হল সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ বাহিরের গ্রুপকে ‘হাত পা কেটে ফেলবো’, ‘ভেঙে ফেলব’ সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্যাম্পাস গ্রুপের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, আমরা ফুল দেওয়া অবস্থায় তারা আমাদের বলতেছে আমরা নামি না কেন? তারাতো আমাদের এভাবে বলতে পারেনা।
ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থানরত গ্রুপের নেতা ও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস বলেন, তারা (ক্যাম্পাস গ্রুপ) আমাদের বলতেছে তারা ফুল দিয়েছে। আমরা ফুল দিবো কেন! এই বলে তারা হট্টগোল তৈরী করে। পরে আমরা তাদের জায়গা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বলেন, আমি চাইনা ছাত্রলীগের কারণে স্বাধীনতা দিবসের এই অনুষ্ঠান পণ্ড হোক।