ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে র্যাগিংয়ের ঘটনা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: ছাত্রলীগ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:২১ PM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৫ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে মধ্যরাতে নবীন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ র্যাগিংয়ের ঘটনা বলে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: ফায়সাল সিদ্দিক আরাফাত সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ইবিতে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছে শাখা ছাত্রলীগের মুন্সি কামরুল হাসান অনিক (আহবায়ক), বনি আমিন (সদস্য), রাকিবুল ইসলাম (সদস্য) ও মো:জাকির হোসেন (সদস্য)। এছাড়াও আগামী ৫(পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় ৩টা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করার ঘটনায় হাইকোর্টে রিট
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি আমার ওরিয়েন্টেশন ক্লাস শুরু হওয়ার জন্য আমি ৭ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ৩০৬ নং রুমে এলাকার (পাবনা) পরিচিত এক আপুর রুমে গেস্ট হিসেবে উঠি। যথাযথভাবে সবাইকে সম্মানপূর্বক রুমে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করি। এরপর ১১ ও ১২ তারিখে ২ দফায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে উঠলে ওই হলের আবাসিক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা আপুর নেতৃত্বে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০- ২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী তাবাচ্ছুম আপুসহ নাম না জানা আরও অন্তত ৭-৮ জন র্যাগিংয়ের নামে আমাকে চরমভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এবং আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। এমনকি তারা আমাকে জীবননাশের হুমকিও প্রদান করেন।
এছাড়াও ঘটনায় জন্য বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল-প্রভোস্ট, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরি অন্তরা এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুমকে বিবাদী করে হাইকোর্টে রিট করেছেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। এবিষয়ে আদালতে শুনানী ও আদেশ হবে আগামীকাল।