০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৪

তিন বছর ধরে বন্ধ ইবির লাইব্রেরীর ডিজিটালাইজেশনের কাজ

ইবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খাদেমুল হারামাইন বাদশা ফাহদ বিন আবদুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাকসেস সেন্টারের কাজ প্রায় তিন বছর বন্ধ রয়েছে। ডিজিটাল লাইব্রেরি বাস্তবায়নের জন্য ক্রয় করা ৩২ টি কম্পিউটারের আইপিএসসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। অচল হওয়া এ কম্পিউটারের মূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা। 

জানা যায়, গত ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় গন্থাগারে এ ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাকসেস সেন্টারের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী। এ অটোমেশন বাস্তবায়নে ক্রয় করা হয় ৩৫ টি কম্পিউটার। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের সহযোগীতায় অনলাইনে যুক্ত করা হয় লাইব্রেরিতে থাকা ৫০ হাজার বই। শুরু হয়েছিল শিক্ষার্থী ডাটা এন্ট্রির কাজ।

করোনা কারণে থেমে যায় অটোমেশনের কাজ। ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর আর অটোমেশন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের। ক্রয় করা অচলপ্রায় ৩২ টি কম্পিউটারের মধ্যে ৯ কম্পিউটার মেরামত করা হয়েছে বাকী কম্পিউটার সেভাবে পড়ে রয়েছে ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাকসেস সেন্টারে।

আরও পড়ুন: ভালো নেই, কেবল বেঁচে আছেন শিক্ষকরা

এটি চালু হলে অনলাইনে সার্চ দিয়ে শিক্ষার্থীরা বই সম্পর্কে তথ্য পাবে। প্রতিটি বইয়ের জন্য থাকা নির্দিষ্ট বার কোড দিয়ে সার্চ করলে বইটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। রুমে এমনকি বিদেশে বসেও লাইব্রেরিতে থাকা বই পড়তে পারবে। এটি চালু না হাওয়ায় এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া লোকবল সংকটও রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে অফিস করেন না। জানা যায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১৫ টি ক্যাটগরির পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে। তবে এর মধ্যে নিয়মিত অফিসে আসেন তিন জন। ফলে তীব্র লোকবল সংকটও দেখা দিয়েছে। 

এ ছাড়া লাইব্রেরি বিমুখ শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনা অনুকূল পরিবেশ থাকতে লাইব্রেরিতে আসেন না শিক্ষার্থীরা। লাইব্রেরিতে একইসময়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার সুযোগ থাকলেও প্রতিদিন ৮০-১০০ শিক্ষার্থী পড়তে আসেন। তবে আবাসিক হলগুলোতে পড়াশোনার কিছুটা অনুকূল পরিবেশ থাকায় লাইব্রেরীতে যাননা বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

গ্রন্থগারের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, কম্পিউটার গুলো দীর্ঘদিন পড়ে আছে। না চালালে কোন জিনিস ভাল থাকে। এটা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক এস এম আবদুল লতিফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং এবং গবেষক তৈরিতে ডিজিটাল অটোমেশন লাইব্রেরি চালু  করা সময়ের দাবি। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া ডিজিটাল লাইব্রেরির অটোমেশন চালু করা সম্ভব না। নানান কারণে এ কাজ আটকে আছে।