নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বড় হয় গ্র্যাজুয়েটরা: ভিসি ড. মশিউর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:২৭ PM
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা মেন্টাল হেলথ এবং জিআইএস বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করছি। কারণ এই বিষয় দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নতুন প্রজন্ম যাদেরকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে বের করছি তারা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বড় হয়।
“আমাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী প্রান্তিক অঞ্চলের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের পড়ার পেছনে আমরা অনেক অর্থ ব্যয় করতে পারি না। রাষ্ট্রও ব্যয় করতে পারছে না। কিন্তু এই তরুণদের মধ্যে যে উদ্যম, অনুপ্রেরণা এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণের সদিচ্ছা রয়েছে, তার সঙ্গে নতুন টুলস নিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই। মেন্টাল হেলথ এবং জিআইএস নিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে যদি নতুন আবহ তৈরি করতে পারি, তাহলে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোজগতে আস্থা তৈরি হবে। আামাদের লক্ষ্য একজন শিক্ষার্থীও যেন হতাশায় না ভোগে।”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ‘জিআইএস এন্ড রিমোট সেন্সিং’ এবং ‘মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান। আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২২) বিকালে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষার্থীকে অবশ্যপাঠ্য হিসেবে আইসিটি এবং সফ্ট স্কিল পড়তে হবে। আমরা নানাবিধ বিষয়কে সমন্বয় করে কোর্স-কারিকুলাম ঢেলে সাজাচ্ছি। শিক্ষার্থীরা যাতে কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেটি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যে থাকে, তাদেরকে বৃত্তি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। আমরা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। কেউ যেন শিক্ষা গ্রহণ থেকে বাদ না যায়। সকলেই যেন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। যে শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসে তার মানস গঠন, ইতিবাচক চিন্তা জাগ্রত করা সর্বোপরি দেশপ্রেমিক সুনাগরিক হিসেবে সেই শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান। মেন্টাল হেলথ এর উপর রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। আর জিআইএস এন্ড রিমোট সেন্সিংয়ে উপর রিসোর্সপার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ট্রেনিং ফর টিচার্স মেন্টাল হেলথ এর উপর ১৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর। জিআইএস এন্ড রিমোট সেন্সিং ব্যবহারিক বিষয়ের উপর ৫ দিনব্যাপী ফেস টু ফেস শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। আর শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি। জিআইএস এন্ড রিমোট সেন্সিং এর প্রশিক্ষণ হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিআইএস ল্যাবে।