২২ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৪১

দুই অনুষদে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

স্বাধীনতাত্তোর দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে যাত্রা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টি ৪৩ বছর পেরিয়ে ৪৪ বছরে পা রেখেছে।

পেছনে ফেলে আসা ৪৩ বছরের পথচলায় শত বাঁধা আর প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, সংস্কৃতি-ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বিদ্যাপীঠটি। নানা আয়োজনে দিনটি পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে নানা পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

১৯৮৬ সালের ২৮ জুন মাসে দুটি অনুষদের চারটি বিভাগে ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে ৮টি অনুষদের ৩৬টি বিভাগে ১৩ হাজার ৪৬৮ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এ র মধ্যে ছাত্র ৮ হাজার ৭৬৩ এবং ছাত্রী ৪ হাজার ৭০৫ জন।

এছাড়া ৪০৩ জন শিক্ষক, ৪৯৪ জন কর্মকর্তা, ১৩২ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৫৮ জন সাধারণ কর্মচারী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতে ৮টি আবাসিক হল (৫টি ছাত্র হল ও ৩ টি ছাত্রী হল) রয়েছে। এছাড়া আরো দুটি দশতলা হলের কাজ চলমান রয়েছে।

এ পর্যন্ত ৫৯৯ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৭৫৮ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ২৫০ জন পিএইচ.ডি এবং ৯৫ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন পুলে গাড়ি রয়েছে ৪৯টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মেগাপ্রকল্পের আওতায় ক্যাম্পাসে ৯টি দশতলা ভবন ও ১টি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগার নির্মাণ, গভীর নলকূপ স্থাপন, ২টি ৫০০ কেভি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, সোলার প্যানেল স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিকতার শিক্ষক খুঁজে পাচ্ছে না ইবি

প্রাপ্তির মাঝে কিছু অপ্রাপ্তিও রয়েছে। এর মধ্যে আবাসন সংকট ও সেশনজট অন্যতম। বর্তমান মোট আটটি আবাসিক হলে শিক্ষার্থী থাকছেন প্রায় আট হাজার। এর মধ্যে ছাত্রদের পাঁচটি আর ছাত্রীদের তিনটি। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও তা আজও সম্ভব হয়নি।

ফলে  যাতায়াতের জন্য পরিবহন নির্ভর শিক্ষার্থীরা। বছর ঘুরে শিক্ষার্থী বাড়লেও পরিবহন সংকট থেকেই যাচ্ছে। যার কারণে প্রত্যেক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ব্যয়ের দশ শতাংশ গুনতে হয় পরিবহনের পেছনে। এছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ, অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতিসহ বেশকিছু বিষয় কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। মেগাপ্রকল্পের কাজ শেষ হলে আবাসন সুবিধাসহ নানা সংকট কাটিয়ে উঠবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি গৌরবের ৪৪ বছরে পদার্পণ করলেও প্রাপ্তির সঙ্গে রয়েছে অনেকগুলো অপ্রাপ্তিও। তবুও মানবসম্পদ তৈরির সূতিকাগার বিদ্যায়তনটি। সকল সংকট কাটিয়ে এগিয়ে যাক এটায় প্রত্যাশা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু সংকট রয়েছে এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। ঘাটতি তলিয়ে দেখে পরিপুষ্ট করতে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী ও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে, সচ্ছ্বতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।