কুবির হল থেকে সিসি ক্যামেরা উধাও

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর ঘন্টাখানেক পরই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি)  হল থেকে ২টি সিসি ক্যামেরা উধাও হয়ে গেছে! বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিসি ক্যামরা বসানো নিয়ে শুরু থেকেই হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হুসাইনসহ একাধিক নেতাকর্মী বিরোধীতা এর করে আসছিলেন। হলের ভিতরে নিজেদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন দাবি তাদের। তবে সংযোগ দেওয়ার পূর্বেই হল থেকে ক্যামেরা চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

এদিকে, সিসি ক্যামেরা স্থাপনে নিয়োজিত কর্মচারীরা ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কর্মচারীদের উল্টো দোষারোপ করেন এবং কেন সিড়ির পাশে (নিজের পছন্দ অনুযায়ী) ক্যামেরা স্থাপন না করে করিডোরে করা হয় তা জানতে চান।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপকে ঘিরে জবিতে ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উম্মাদনা

এবিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হুসাইন বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে কিনা আমি সেটাও জানি না। সেখানে আমার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ দিয়েছে? তবে হলে ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি জানতে পেরে আমি প্রভোস্টের সাথে কথা বলেছি, এখানে শিক্ষার্থীদের গোপনীয়তা থাকে। আমি পরামর্শ দিয়েছি ড্রিলং ছাড়াও ক্যামেরা লাগানো যায়। তবে পরবর্তীতে কি হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই।’

সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নজরুল হলের বিভিন্ন তলায় গতকাল ৫টি এবং আজ সকালে ৩টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। কিন্তু ক্যামেরা বসানোর ঘন্টাখানেকের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার দুইটি ক্যামেরা উধাও হয়ে যায়।

সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর সরিয়ে ফেলতে পারে এমন সন্দেহে কর্মচারীরা স্থাপনকৃত ক্যামেরার ছবি তুলে রাখেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগানোর সময় ছাত্রলীগ নেতা ইমরান বার বার নিষেধ করেন। কাজ করার এক পর্যায়ে আমি বাইরে গেলে এসে দেখি ২টি ক্যামেরা নাই। বিষয়টি নিয়ে আমি ছাত্রদের কাছে জানতে চাইলে ইমরান ও হলের সেকশন অফিসার নানাভাবে ধমক দেন। আমি আইসিটি সেলকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের সিনিয়র প্রোগ্রামার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ নজরুল হলে ক্যামেরা পাওয়া যাচ্ছেনা এমন একটি বিষয় যারা কাজ করছেন তারা জানিয়েছেন। বিষয়টি প্রভোস্ট স্যারকে অবগত করেছি। তবে হলটিতে সিসি ক্যামেরা লাগানো নিয়ে শুরু থেকে কয়েকজন ছাত্রনেতা নিষেধ করে আসছে।’

হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে কিনা সেটা তো আমি জানি না। আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর আমি বলতে পারব যে লাগিয়েছে কিনা।’

এবিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সিসি ক্যামেরা প্রণয়ন কমিটিতে ছিলাম। এখন যদি চুরি হয়ে যায় সেটি হল প্রভোস্ট দেখবেন।’


সর্বশেষ সংবাদ